ছাত্রলীগ অস্ত্রসহ কীভাবে প্রবেশ করল সুপ্রিম কোর্ট এলাকায় – এমন প্রশ্ন তুলেছেন বিএনপি। আজ শুক্রবার ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও উচ্চ আদালত প্রাঙ্গনে ছাত্রলীগের সন্ত্রাস ও জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের শান্তিপূর্ণ মিছিলে ছাত্রলীগের হামলা’র প্রতিবাদে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে অনুষ্ঠিত সমাবেশে দলটির নেতারা এই প্রশ্ন তুলেছেন।
ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ বিএনপির উদ্যোগে এই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমান উল্লাহ আমানের সভাপতিত্বে এবং উত্তরের সদস্যসচিব আমিনুল হক ও দক্ষিণের সদস্যসচিব রফিকুল আলম মজনুর পরিচালনায় সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, বিএনপি নেতা আব্দুস সালাম, হাবিবুর রহমান হাবিব, খায়রুল কবির খোকন, ফজলুল হক মিলন, আবদুস সালাম আজাদ, নাজিম উদ্দিন আলম, শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী, কামরুজ্জামান রতন, শিরিন সুলতানা, মীর সরফত আলী সপু, আজিজুল বারী হেলাল, শামীমুর রহমান শামীম, রাজীব আহসান, হাসান জাফর তুহিন, সাইফুল আলম নিরব, সুলতান সালাহউদ্দিন টুকু, আবদুল কাদির ভুঁইয়া জুয়েল, হেলেন জেরিন খান প্রমুখ।
ড. খন্দকার মোশাররফ বলেন, ‘আজকে যারা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রদলের নেতা-কর্মীদের লাঠি দিয়ে, অস্ত্র দিয়ে সমর্থন দিয়ে তাদের (ছাত্রলীগ) লেলিয়ে দিচ্ছেন, আপনারা (ক্ষমতাসীনরা) আপনাদের কথা চিন্তা করেন। যারা করছে তাদের পরিণতি কী হবে অতীতে আমাদের কাছে বহু উদাহরণ রয়েছে। এর পরিণতি শুভ হবে না।’
বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘আপনারা (সরকার) কেন এ সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করছেন- এটা সবাই জানে। শেখ হাসিনার সরকার আজকে যখন চতুর্দিকে ঘেরাও হয়ে গেছে, আন্তর্জাতিকভাবে তারা বিচ্ছিন্ন, আন্তর্জাতিকভাবে তারা সমর্থন শূণ্য, এদেশের মানুষ তাদেরকে (সরকার) প্রত্যাখান করেছে। তাদের আর কোনো পথ নাই, তাদের পথ চতুর্দিকে বন্ধ হয়ে গিয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘তখন তারা এই গুন্ডামি এই সন্ত্রাসের পথ বেছে নিয়েছে। কারও যদি জনসমর্থন থাকে, গণতান্ত্রিকভাবে পায়ের নিচে মাটি থাকে তাহলে এরকম গুন্ডামিতে সন্ত্রাসীর পথে কেউ যায় না। আমরা স্পষ্ট করে বলতে চাই, এই ছাত্রদল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়েছে, সারা বাংলাদেশে তারা আন্দোলনের সূচনা করেছে। সারাদেশে এই আন্দোলন হবে।’
মোশাররফ বলেন, ‘কয় জায়গায় আপনারা এই সন্ত্রাসীদের পাঠাতে পারবেন? আমরা বলতে চাই, এই ছাত্রদলের নেতা-কর্মীরা এদেশের মানুষের সন্তান, তাদের অভিভাবকরা আজকে প্রস্তুত হচ্ছে। বিএনপিসহ যত অঙ্গসংগঠন আছে তারা প্রত্যেকে ছাত্রদলের ভাই অথবা অভিভাবক। তাই অভিভাবকরা কেউ বসে থাকবে না।’
সমাবেশে আমান উল্লাহ আমান বলেন, ‘দেশের সর্বোচ্চ আদালত সুপ্রিম কোর্ট এলাকায় কীভাবে সন্ত্রাসী ছাত্রলীগ অস্ত্রসহ প্রবেশ করল? আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ভূমিকা কী ছিল? আমরা জানতে চাই।’
ডাকসুর সাবেক এই ভিপি বলেন, ‘ছাত্রদলের অবস্থান যদি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় মধু ক্যান্টিনে না হয়; এই সরকারের অবস্থান কোথাও থাকবে না।’
তিনি বলেন, ‘দেশে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে অবাধ সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন হবে, বিএনপি আবার জনগণের ভোটে ক্ষমতায় আসবে, আমাদের নেতা তারেক রহমান আবার বীরের বেশে দেশে ফিরবেন। তাই আগেই সরকারকে বলছি, নিজে থেকে সরে যান। চার দিকে প্রতিরোধ শুরু হয়েছে। এখন থেকে সর্বত্র প্রতিরোধ হবে খুলনা ও পটুয়াখালীতে গতকাল প্রতিরোধ হয়েছে।’