ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের হামলায় ছাত্রদলের প্রায় ৩০-৪০ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন রাজধানীর হাইকোর্টর সামনে। তাদের মধ্যে গুরুতর আহত নেতাকর্মীদের রাজধানীর বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) কার্জন হল থেকে হাইকোর্ট মোড়ে যাওয়ার রাস্তায় সংঘর্ষে জড়ায় ছাত্রলীগ ও ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা।
খালেদা জিয়াকে হত্যার হুমকি ও নেতাকর্মীদের ওপর হামলার প্রতিবাদে ছাত্রদলের ঘোষিত কর্মসূচিতে গত মঙ্গলবার হামলা চালায় ছাত্রলীগ। এর প্রতিবাদে দেশব্যাপী বিক্ষোভ কর্মসূচির ঘোষণা দেয় ছাত্রদল। কেন্দ্রীয়ভাবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় এ কর্মসূচি বাস্তবায়নের কথা ছিল।
এদিকে ছাত্রদলের কর্মসূচিকে সামনে রেখে বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই ঢাবি ক্যাম্পাসের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে অবস্থান নেন ছাত্রলীগের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও ঢাকা কলেজ ইউনিট এবং ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সাধারণ সম্পাদক জুবায়েরের অনুসারীরা।
দুপুর ১২টার দিকে হাইকোর্টের রাস্তা দিয়ে ক্যাম্পাসে প্রবেশের সময় কার্জন হলের সামনে থেকে জড়ো হয়ে ছাত্রদল নেতাকর্মীদের ওপর হামলা চালান ছাত্রলীগ। এ সময় ছাত্রদল নেতাকর্মীরাও পাল্টা আক্রমণ চালায়। উভয়পক্ষের নেতাকর্মীদের ইট-পাটকেল নিক্ষেপ ও ধাওয়া পাল্টা-ধাওয়া করতে দেখা যায়। দুই দলের নেতাকর্মীদের হাতে স্টিলের পাইপ, কাঠের ফ্রেম, লাঠি, স্ট্যাম্প, হকিস্টিক, রড দেখা যায়।
সংঘর্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক আরিফ, জিয়া হলের সভাপতি তারেক হাসান মামুন, বিজয় একাত্তর হলের সহ-সভাপতি তানভীর আজাদী, ঢাকা কলেজের সভাপতি শাহীন, বাংলা কলেজের কর্মী কাইয়ুমসহ বেশ কয়েকজন গুরুতর আহত হন। তারা রাজধানীর বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের আহ্বায়ক আক্তার হোসেন দৈনিক আমাদের সময়কে বলেন, ‘পূর্বঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে আজ সকাল থেকেই হাইকোর্ট এলাকার আশপাশে জড়ো হতে থাকেন ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা। দুপুর ১২টার দিকে তারা মিছিল বের করেন। মিছিলটি হাইকোর্ট মোড় হয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দোয়েল চত্বরের দিকে অগ্রসর হয়। এ সময় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা তাদের শান্তি মিছিলে চাপাতি, রামদা, রড, হকিস্টিক, লাঠিসোঁটা, ইট-পাথর সহকারে হামলা করে। ছাত্রলীগের হামলায় বিএনপির ৩০-৪০ জন নেতাকর্মী গুরুতর আহত হয়েছে।এই সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। তাদের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।