চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি এনিম্যাল সাইন্সেস বিশ্ববিদ্যালয় (সিভাসু) ১০৩টি শূন্য পদে নিয়োগের লক্ষ্যে ২০২১ সালের ১০ মার্চ নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে । ওই বিজ্ঞপ্তির আলোকে ‘প্রশাসনিক কর্মকর্তা’ পদে আবেদন করেন বিশ্ববিদ্যালয়টিতে কর্মরত জুয়েল মো. বিল্লাল। তবে নিয়োগ পরীক্ষার জন্য তাকে প্রবেশপত্র দেয়া হয়নি বলে অভিযোগ জুয়েল মো. বিল্লালের। তার অভিযোগ, তাকে সুযোগ না দিয়েই অন্যান্য প্রার্থীদের নিয়ে নিয়োগ পরীক্ষা কার্যক্রম সম্পন্ন করেছে সিভাসু কর্তৃপক্ষ।
নিয়োগ পরীক্ষায় অংশগ্রহণের অনুমতি না দেয়ার অভিযোগে হাইকোর্টে একটি রিট আবেদন করেন তিনি। সিভাসু, সিভাসুর উপাচার্য, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) চেয়ারম্যান ও সিভাসুর রেজিস্ট্রারকে এ রিটে বিবাদী করা হয়। রিটের শুনানি শেষে গত ২৫ এপ্রিল বিচারপতি জাফর আহমেদ ও বিচারপতি জিনাত হকের সমন্বয়ে হাইকোর্টের দ্বৈত বেঞ্চ বিবাদীদের শোকজ করেন। আদালতের শোকজের জবাব দিলেও পদটিতে (প্রশাসনিক কর্মকর্তা) নিয়োগ চূড়ান্তকরণের জন্য ২৪ মে (আজ) সিন্ডিকেটের বিশেষ অধিবেশন ডেকেছে সিভাসু প্রশাসন।
এ অভিযোগ করে জুয়েল মো. বিল্লাল বলেন, অন্যান্য পদে নিয়োগ চূড়ান্ত করলেও এতদিন প্রশাসনিক কর্মকর্তা পদে নিয়োগ চূড়ান্ত করেনি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। কিন্তু আদালতের শোকজের জবাব দেয়ার পরপরই পদটিতে নিয়োগ চূড়ান্তকরণে মঙ্গলবার (আজ) বিশেষ সিন্ডিকেট ডাকা হয়েছে। অথচ পদটি নিয়ে মহামান্য হাইকোর্টে আমি রিট করেছি। যা বিচারাধীন। বিচারধীন থাকা অবস্থায় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এ পদে নিয়োগ চূড়ান্ত করতে পারে না। কিন্তু জরুরিভাবে বিশেষ সিন্ডিকেট ডেকে তারা (বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ) এই অন্যায় কাজটি করতে চাচ্ছে।
এদিকে, মহামান্য হাইকোর্ট নিয়োগ প্রক্রিয়ায় কোনো স্থগিতাদেশ দেয়নি জানিয়ে সিভাসুর উপাচার্য অধ্যাপক ড. গৌতম বুদ্ধ দাশ আজাদীকে বলেন, আমরা আদালতের শোকজ পেয়েছি। এর জবাবও দিয়েছি। তবে আদালত নিয়োগ কার্যক্রমে কোনো ধরণের স্থগিতাদেশ দেয়নি। তাই নিয়োগ চূড়ান্তকরণে বাধা নেই। আমরা আইনি পরামর্শকের মতামতও নিয়েছি।
আর নিয়োগ পরীক্ষায় ওই প্রার্থীকে সুযোগ না দেয়ার বিষয়ে সিভাসু উপাচার্য বলেন, সে আমাদের কর্মচারী। তার বিরুদ্ধে চেক জালিয়াতির মাধ্যমে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে। এ ধরনের ঘটনায় সে বেশ কয়বার শাস্তিপ্রাপ্ত। অনেকদিন সাময়িক বরখাস্ত ছিল। আরেকবার শাস্তি হিসেবে মূল পদ থেকে তাকে নিম্ম পদে অবনমন করা হয়। শাস্তিপ্রাপ্ত হিসেবে তাকে নিয়োগ পরীক্ষায় সুযোগ দেয়া হয়নি।