ঢাকা : ক্রমেই দেশ উন্নত রাষ্ট্রে পরিণত হচ্ছে। বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেছেন, দেশে এখন সর্বস্তরে উন্নয়ন হচ্ছে। কিন্ত সেই উন্নয়নকে বাধা দিতে প্রতিক্রিয়াশীল গোষ্ঠী চেষ্টা করে যাচ্ছে। তিনি বলেন, ৫ জানুয়ারির নির্বাচন বানচাল করার চেষ্টা করেছিলেন খালেদা জিয়া। কিন্ত সফল হননি। দেশের এই উন্নয়ন অগ্রযাত্রাকেও কেউ রুখতে পারবে না।
শনিবার বিকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে ‘স্মরণে, শপথে ১৫ই আগস্ট, বঙ্গবন্ধু ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তোফায়েল এসব কথা বলেন।
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪১তম শাহাদাতবার্ষিকী উপলক্ষে ঢাকা ইউনিভার্সিটি অ্যালামনাই এসোসিয়েশন এই আলোচনা সভার আয়োজন করে।
সভায় সাম্প্রতিক জঙ্গি হামলার বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘যারা সন্ত্রাসী, জঙ্গি তাদের পরিবার স্বীকৃতি দেয় না। তাদের দেখতে যায় না। আর বিএনপি বলে তাদের হত্যা না করে জীবিত ধরার দরকার ছিল। কয়েকজন বিএনপি নেতা বলেন যাদের হত্যা করা হয়েছে তাদের সবাই সন্ত্রাসী না।’
উনসত্তরের গণআন্দোলনের স্মৃতিচারণ করে তোফায়েল আহমেদ বলেন, ‘যখন ১১ দফা তৈরি করেছিলাম, তখন দফার ভেতর বঙ্গবন্ধুর মুক্তির বিষয়টি লিখতে চাইলে ছাত্র ইউনিয়ন বিরোধিতা করে। পরে আগরতলা মামলা প্রত্যাহার ও সব রাজবন্দীর মুক্তি চাই এমন কথা লিখি।’
বঙ্গবন্ধুর ওপর স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু শুধু হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি ছিলেন না, তিনি সারা বিশ্বের নিপীড়িত মানুষের নেতা ছিলেন।’
এসোসিয়েশনের সভাপতি একে আজাদের সভাপতিত্বে সভায় প্রধান আলোচক ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমিরিটাস অধ্যাপক ড. আনিসুজ্জামান। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক ড. শেখ আব্দুস সালাম। আরও উপস্থিত ছিলেন ভিসি অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক, প্রো-ভিসি (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. আখতারুজ্জামান, এসোসিয়েশনের সাবেক সভাপতি সৈয়দ মঞ্জুর এলাহী, রকীব উদ্দীন আহমেদ, মানবজমিন পত্রিকার ব্যবস্থাপনা সম্পাদক কে এম বাবর আশরাফুল হক প্রমুখ।
সভাপতির বক্তব্যে একে আজাদ বলেন, ‘জাতির পিতা কোনো দলের হতে পারেন না। তিনি দলের ঊর্ধ্বে। তার নামে অনেকগুলো সংগঠন তৈরি হয়েছে। সেগুলোর বিষয়ে খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে।’