ঢাকা : পুলিশ রাজধানীর মেরুল বাড্ডা এলাকায় জামায়াত নেতা মতিউর রহমান নিজামীর স্ত্রীর মালিকানাধীন ইসলামিক ইন্টারন্যাশনাল স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে আটক ১৮ জনকে রিমান্ডে পেয়েছে । এর মধ্যে ১৬ জনের দুই দিন এবং দুইজনের তিন দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর হয়েছে।
ইসলামিক ইন্টারন্যাশনাল নামক ওই স্কুলের উপাধ্যক্ষ ও বাড্ডা থানা জামায়াতের আমির ফখরুদ্দীন মোহাম্মদসহ রিমান্ডকৃতরা হলেন, কেফায়াতুল্লাহ এবং মো. শামীম, জামাল উদ্দিন সরকার, ইকবাল হোসেন, গোলাম সারোয়ার, আব্দুস সাত্তার, মাসুদুর রহমান, আব্দুল হক, খন্দকার আব্দুল বাতেন, আব্দুল হান্নান, জামাল উদ্দিন কামাল, হাফিজুর রহমান, খলিলুর রহমান, নাজিম উদ্দিন , রফিকুল ইসলাম, সাইদুর রহমান, আহসান উল্লাহ এবং মিকাইল হোসেন।
রিমান্ডকৃতদের মধ্যে প্রথম দুইজনের তিন দিন করে এবং অপর ১৬ জনের দুই দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছে আদালত।
বিশেষ ক্ষমতা আইনের একটি মামলায় দশ দিন করে রিমান্ড আবেদনের শুনানি শেষে শনিবার ঢাকা মহানগর ম্যাজিস্ট্রেটট সাজ্জাদুর রহমান এই রিমান্ড মঞ্জুর করেন। বাড্ডা থানার এসআই নূর মোহাম্মদ আসামিদের আদালতে হাজির করে এই রিমান্ড আবেদন করেন।
আসামিপক্ষে অ্যাডভোকেট এসএম কামাল উদ্দিন রিমান্ড বাতিলপূর্বক জামিনের আবেদন করে শুনানি করলে আদালত তা নাকচ করেন।
নাশকতামূলক কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে গতকাল শুক্রবার আটকের পরই তাদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে পুলিশকে তারা বেশ কিছু তথ্য দিয়েছে জানালেও এ বিষয়ে বিস্তারিত জানাতে রাজি হচ্ছেন না বাড্ডা থানার কর্মকর্তারা।
শুক্রবার সকালে মেরুল বাড্ডার ডিআইটি প্রজেক্টের ৮ নম্বর সড়কের ২৫ নম্বর বাড়িতে ওই স্কুল থেকে ১৮ জনকে আটক করে পুলিশ। এই স্কুলটির অধ্যক্ষ মানবতাবিরোধী অপরাধে ফাঁসি কার্যকর হওয়া নেতা মতিউর রহমান নিজামী।
এই স্কুল থেকে আটক ১৮ জনের সবাই জামায়াতে ইসলামী ও তার ছাত্র সংগঠন ইসলামী ছাত্র শিবিরের কর্মী। স্কুল বন্ধ থাকলেও আগের রাতে ওই স্কুলে তারা তারা জড়ো হয়েছিলেন। তাদের সঙ্গে বেশ কয়েকজন নারীও ছিলেন। তবে তাদেরকে ছেড়ে দেয়া হয়।
পুলিশ জানায়, ইসলামিক ইন্টারন্যাশনাল স্কুলটির দুটি শাখা রয়েছে। একটি গুলশানে, অন্যটি মেরুল বাড্ডায়। দুটি শাখারই অধ্যক্ষ শামসুন্নাহার নিজামী। স্কুলটিতে অভিযান চালানোর সময় তিনি সেখানে ছিলেন না। বাড্ডা থানা শাখা জামায়াতের আমির ফখরুদ্দিন মো. কেফায়েতুল্লাহ স্কুলটির ভাইস প্রিন্সিপাল। তিনিই এ শাখা চালাতেন।