গত এক সপ্তাহে বিভিন্ন বিদ্যালয়ের নবম-দশম শ্রেণিতে পড়ুয়া ১৩ ছাত্রী প্রেমের টানে উধাও হয়েছে নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে। গতকাল বুধবার দুপুরে থানার ওপেন হাউজ ডে-তে পরিদর্শক (তদন্ত) এস এম মিজানুর রহমান এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, উধাও হওয়া কিশোরীদের মধ্যে পাঁচজনকে পুলিশ উদ্ধার করেছে। দুজনকে শনাক্ত করা যায়নি। বাকিরা তাদের পরিবার বিয়ে মেনে না নিলে আত্মহত্যার হুমকি দিয়ে পলাতক রয়েছে।
পরিদর্শক (তদন্ত) এসএম মিজানুর রহমান জানান, কোম্পানীগঞ্জ থানায় এপ্রিল মাসে ১৮টি মামলা রেকর্ড হয়েছে। তবে চলতি মাসের ১৮ দিনে মাত্র তিনটি মামলা রেকর্ড হয়েছে। পুলিশি তৎপরতা ও বিট পুলিশিং কার্যক্রমে অপরাধ প্রবণতা অনেকটা কমে এসেছে বলেও তিনি দাবি করেন।
এ ছাড়া এলাকায় কিশোর গ্যাংয়ের অপতৎপরতা বৃদ্ধিতে উদ্বেগ প্রকাশ করেন উপস্থিত জনপ্রতিনিধি ও সুধীজনরা। অন্যদিকে অস্ত্র, মাদক ও চোরাচালান রোধে জনপ্রতিনিধি ও পুলিশের সমন্বয়ে এলাকায় তৎপরতা বাড়ানোর দাবি করেন স্থানীয়রা।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন নোয়াখালীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) আকরামুল হাসান। বিশেষ অতিথি ছিলেন কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান মোহাম্মদ শাহাব উদ্দিন।
অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন, উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা মো. ইউনুস, কমিউনিটি পুলিশের সভাপতি ব্যবসায়ী মো. নুরনবী সেলিম, ক্লিনিক মালিক সমিতির সভাপতি মো. আবদুল কুদ্দুছ, ইউপি চেয়ারম্যান নাজিম উদ্দিন মিকন, সাংবাদিক ইকবাল হোসেন মজনু প্রমুখ।