বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সাংবাদিক সমিতি (বাচসাস) দেশের শিল্প-সংস্কৃতি ও চলচ্চিত্র সাংবাদিকতায় অবদান রাখার জন্য ১২ জন গুণীকে সম্মাননা দিয়েছে ঐতিহ্যবাহী সংগঠন। গতকাল সোমবার রাজধানীর ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে এই গুণীজন সম্মাননা ও সংগঠনটির ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক। বিশেষ অতিথি ছিলেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী। অনুষ্ঠানটির সভাপতিত্ব করবেন বাচসাস সভাপতি ফালগুনী হামিদ।
এ বছর সম্মাননা জানানো হয়েছে- গুণী অভিনেতা ও পরিচালক-প্রযোজক আলমগীর, নির্মাতা ছটকু আহমেদ ও চিত্রগ্রাহক আব্দুল লতিফ বাচ্চু, টেলিভিশন ও মঞ্চ নাট্যব্যক্তিত্ব রামেন্দু মজুমদার, নাট্যব্যক্তিত্ব আতাউর রহমান ও নাট্যব্যক্তিত্ব আসাদুজ্জামান নূর, সংগীতে সংগীতশিল্পী সৈয়দ আব্দুল হাদী, সংগীতশিল্পী রুনা লায়লা ও গীতিকার গাজী মাজহারুল আনোয়ার, সাংবাদিকতায় সাংবাদিক-গবেষক রফিকুজ্জামান, চলচ্চিত্র নির্মাতা ও সাংবাদিক শহিদুল হক খান ও চলচ্চিত্র গবেষক এবং সাংবাদিক অনুপম হায়াৎকে।
রুনা লায়লা, আসাদুজ্জামান নূর ও শহিদুল হক খান ছাড়া বাকি সবাই উপস্থিত হয়ে সম্মাননা গ্রহণ করেন। উপস্থিত না হতে পারলেও তারা এই সম্মাননার জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন।
অনুষ্ঠানে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেন, ‘এত গুণী মানুষদের সম্মাননা জানাতে পারাটা আমাদের জন্য গর্বের। এখানে সবাই নিজ নিজ জায়গায় সাফল্যের সঙ্গে অবদান রেখেছেন। তারা আমারও খুব আপন। সম্মাননার জন্য উনাদের নির্বাচিত করার জন্য বাচসাসকে ধন্যবাদ জানাই।’
চিত্রনায়ক আলমগীর বলেন, ‘এর আগেও আমি বাচসাস থেকে সেরা অভিনেতার পুরস্কার ও আজীবন সম্মাননা পুরস্কার পেয়েছি, এবার পেলাম গুণীজন সম্মাননা। বাচসাসের সবাইকে ধন্যবাদ আমাকে গুণীজন হিসেবে এই সম্মাননা দেওয়ার জন্য।’
সবশেষে সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়ে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি করেন বাচসাস সভাপতি ফালগুনী হামিদ।