ঢাকা : আফসানার পরিবারের দাবি, আফসানাকে হত্যার জন্য ছাত্রলীগ নেতা রবিনই দায়ী।ঢাকার মিরপুরের সাইক ইনস্টিটিউট অব ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড টেকনোলজির স্থাপত্যবিদ্যার শেষ বর্ষের ছাত্রী ঠাকুরগাঁওয়ের ফেরদৌস আফসানা খুনে তেজগাঁও সরকারি কলেজ ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক রবিন জড়িত বলে অভিযোগ করেছে নিহতের পরিবার।
আফসানার মা সৈয়দা ইয়াসমিন বলেন, তেজগাঁও এলাকায় থাকার সময় আফসানার সঙ্গে ছাত্রলীগ নেতা হাবিবুর রহমান রবিনের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল। একপর্যায়ে তাদের সম্পর্কে টানাপড়েনের সৃষ্টি হলে আফসানা সেখান থেকে চলে যায়।
একটি সূত্র জানায়, মৃত্যুর ১০ দিন আগে আফসানা ও রবিনের বন্ধুরা তাদের এক করে দিলেও ফের দুজনের সম্পর্কে ফাটল ধরে। একপর্যায়ে আফসানাকে দেখে নেয়ার হুমকি দেয়া হয়। এর দুদিন পরই আফসানার মরদেহ পাওয়া যায়।
আফসানার পরিবার জানায়, আজ বিকালেও রবিনের ভাই পরিচয় দিয়ে দিপু নামে একজন আফসানার পরিবারকে হুমকি দেয়। বিষয়টি নিয়ে বাড়াবাড়ি না করে দিপু নামে ওই ব্যক্তি বলেন, ‘আপনারা অনেক দূরে থাকেন। আমাদের কিছুই করতে পারবেন না। একটা মিসটেক হয়ে গেছে। আসেন আমরা বসে মীমাংসা করে ফেলি।’ এ নিয়ে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন বলে আফসানার মা ও তার পরিবার জানায়।
উল্লেখ্য, গত শনিবার আফসানা ফেরদৌসীকে খুন করে মরদেহ হাসপাতালে রেখে অপরিচিত মোবাইল থেকে তার মাকে ফোন করে দুর্বৃত্তরা। খবর পেয়ে তার মা ঠাকুরগাঁও থেকে ঢাকায় থাকা তার আত্মীয়-স্বজনদের বিষয়টি অবহিত করেন। পরে ফেরদৌসীর স্বজনরা ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে মরদেহ শনাক্ত করেন।
রবিবার আফসানার মরদেহ ময়নাতদন্ত শেষে গ্রামের বাড়ি ঠাকুরগাঁয়ের রুহিয়ায় নিয়ে যাওয়া হয়। নিহত আফসানা ফেরদৌসী রুহিয়া থানার কানিকশালগাঁ গ্রামের আকতার হোসেনের বড় মেয়ে। এ ঘটনায় কাফরুল থানার পুলিশ বাদী হয়ে একটি মামলা করলেও এখনও কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি।