র্যাব-৩ ধরেছে পাঁচ বছরে অবৈধভাবে পাঁচ শতাধিক নারী-পুরুষকে মধ্যপ্রাচ্যেসহ বিভিন্ন দেশে পাঠানোর নামে ৩০ কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়া প্রতারক চক্রকে ।
শুক্রবার রাজধানীর রামপুরা ও হাতিরঝিল এলাকা থেকে তাদের চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তারা হলেন কামরুল আহমেদ (৪২), খালেদ মাসুদ হেলাল (৩৬), তোফায়েল আহমেদ (৩৮) ও মোহাম্মদ জামাল (৪২)।
ওই চারজনের কাছ থেকে জব্দ করা হয় ২৭টি পাসপোর্ট, একটি মনিটর, একটি সিপিইউ, ১০০টি ভিসার কপি, ১২৫টি টিকিট ও করোনা নমুনা সংগ্রহ পরীক্ষার কাগজ।
আজ শনিবার রাজধানীর কারওয়ান বাজারে অবস্থিত র্যাবের মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানানো হয়।
র্যাব-৩-এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আরিফ মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, অবৈধভাবে মধ্যপ্রাচ্যে নারী-পুরুষ পাঠানোর পাশাপাশি এই চক্রটি বিদেশ যেতে ইচ্ছুকদের টার্গেট করে ভুয়া পাসপোর্ট ও টিকিটের মাধ্যমে কৌশলে টাকা হাতিয়ে নিতো। জনপ্রতি নেওয়া হতো ৫ থেকে ৭ লাখ টাকা। পরে ভুয়া ভিসা ও টিকিটের কারণে ইমিগ্রেশন থেকে ফিরে আসত ভুক্তভোগীরা। এ বিষয়ে প্রতিকার চাইতে এলে অফিসের ঠিকানা পরিবর্তন করে অন্য জায়গায় পালিয়ে যেত চক্রের সদস্যরা।
সংবাদ সম্মেলনে র্যাব জানায়, চক্রের সদস্যরা দীর্ঘদিন ধরে জনশক্তি রপ্তানির নামে অবৈধভাবে ভ্রমণ ভিসার মাধ্যমে মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে লোক পাঠিয়ে আসছিল। এ ছাড়া লোক পাঠানোর এবং চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে বিদেশ গমনেচ্ছু বেকার তরুণ-তরুণীদের কাছ থেকে ৫ থেকে ৭ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়ে ভুয়া ভিসা ও ভুয়া টিকিট ধরিয়ে দিতো।
র্যাবের কর্মকর্তা আরিফ মহিউদ্দিন আহমেদ জানান, মানবপাচার ও প্রতারক চক্রের অন্যতম হোতা কামরুল। তাদের ছিল না জনশক্তি রপ্তানির কোনো লাইসেন্স। ২০১৯ সালে ভ্রমণ ভিসায় দুবাই যান তিনি। সেখান থেকেই মানবপাচার শুরু করেন। পরে করোনার কারণে ২০২১ সালে বাংলাদেশে ফিরে এসে বিভিন্ন ট্যুর ও ট্রাভেলসের সঙ্গে যোগাযোগ করে আবার অবৈধভাবে ভ্রমণ ভিসায় বিভিন্ন দেশে লোকজন পাঠানো শুরু করে কামরুল। তার বিরুদ্ধে চট্টগ্রামে একটি চেক জালিয়াতির মামলা এবং মৌলভীবাজার আদালতে ডাচ-বাংলা ব্যাংকের ১৮ লাখ টাকার একটি মামলা রয়েছে।