ঢাকা : হয়রানির শিকার হচ্ছে নারী। সোশ্যাল মিডিয়ায় বাড়ছে অপরাধ। ফেসবুক ব্যবহার করে প্রতারণার ঘটনাও ঘটছে। সন্ত্রাসবাদীরাও ব্যবহার করছে সোশ্যাল মিডিয়া। হুমকি-দায় স্বীকার আর বক্তব্য প্রচারে ব্যবহার করা হচ্ছে এই মাধ্যমকে।
সোশ্যাল মিডিয়ায় হয়রানির শিকার ব্যক্তিদের অনেকক্ষেত্রেই প্রতিকার পেতে হিমশিম খেতে হয়। তছনছ হয়ে যায় অনেকের জীবন। সামাজিক ক্ষেত্রে চূড়ান্ত অসম্মানের মুখোমুখি হতে হয় তাদের। কাউকে কাউকে বহন করতে হয় চরম পরিণতি। জার্মানভিত্তিক সংবাদ মাধ্যম ডয়েচে ভেলে’র এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সাইবার হয়রানি থেকে সুরক্ষা দিতে বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) বিভাগে একটি ‘সাইবার হেল্প ডেস্ক’ রয়েছে। এই হেল্প ডেস্কে গত দু’বছরে ১৭ হাজারেরও বেশি অভিযোগ জমা পড়েছে। অভিযোগকারীদের ৭০ ভাগই নারী। আরো সুনির্দিষ্ট করে বললে, নারীদের অভিযোগের ৬০ ভাগেরও  বেশি জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ফেসবুককে  কেন্দ্র করে। এরমধ্যে ১০ ভাগ অভিযোগ সত্যিই ভয়াবহ। এর মধ্যে রয়েছে অন্যের ছবিতে ছবি জুড়ে  দেয়া (সুপার ইম্পোজ) এবং পর্নোগ্রাফি।  ইউটিউব ও বিভিন্ন সাইটে এসব পর্নোগ্রাফি ও ছবি ‘আপলোড’ করার হারও বেড়ে চলেছে। অভিযোগকারীদের দেয়া তথ্য অনুযায়ী, ফেসবুকের চ্যাট বা ভিডিও চ্যাটের ছবি একটু এদিকে-ওদিক করে বা ব্যক্তিগত সম্পর্কের ভিডিও-চিত্র দ্রুত ইউটিউবে অথবা বিভিন্ন পর্নো সাইটে শেয়ার করা হচ্ছে। চিন্তার বিষয়, অনেকেরই এখন এসব ইউটিউবে  শেয়ার করা এবং পরে কমেন্ট পাওয়াটা নেশায় পরিণত হয়েছে। তাছাড়া অভিযোগ আসার দু-একদিনের মধ্যে রিপোর্ট করতে গিয়ে দেখা যায় যে, তা তার মধ্যেই কয়েক হাজারবার শেয়ার হয়ে গেছে। তাই তখন  ফেসবুকে রিপোর্ট করেও কাজ হয় না। গুগলও চায় না তা মুছে ফেলতে। ফলে পরিস্থিতি আরো জটিল হয়ে ওঠে। অভিযোগগুলোর মধ্যে এছাড়াও আছে ফেসবুক আইডি হ্যাক, ই-মেল আইডি হ্যাক, বিভিন্ন ধরনের পর্নোসাইট বা ব্যক্তিগত ছবি পর্নোসাইটে ছেড়ে দেয়ার মতো ঘটনাও।

Share Now
December 2024
M T W T F S S
 1
2345678
9101112131415
16171819202122
23242526272829
3031