ঢাকা: ইন্টারভিউয়ের সময় প্রতিটি কথা অবশ্যই আপনাকে ভেবেচিন্তে বলতে হবে। কেন আপনি চাকরিটি পেতে চান। প্রশ্নের জবাব দিতে গিয়ে আগ বাড়িয়ে নিজের রাজনৈতিক ও ধর্মীয় দৃষ্টিভঙ্গি তুলে ধরাটা অপ্রয়োজনীয়। তবে কর্তৃপক্ষ এ ধরনের প্রশ্ন করলে, সেটা ভিন্ন কথা। চাকরির ইন্টারভিউ দিতে গিয়ে যেসব বিষয় এড়িয়ে চলবেন:-

১) ইন্টারভিউ বোর্ডের কেউ যদি প্রথমেই আপনার পরিচয় জানতে চায় বা আপনার নাম জানতে চায় তাহলে কখনই ভুলেও শুরুতেই বলবেন না, ‘আমার নাম হল…’। শুরুতেই নামটা বলে দিন।

২) একই কথা বারবার বলবেন না। একই কথা বারবার বললে ধারণা যায় যে আপনার চিন্তাশক্তি বড্ড একঘেয়ে ও গতানুগতিক। প্রশ্নটা খুব একই রকম হলেও বিভিন্নভাবে উত্তর দিন।

৩) খুব তাড়াতাড়ি কথা বলে ফেলবেন না। টেনশনে এমন হয় ঠিকই, কিন্তু এই ছোট্ট ভুলটা আপনার চাকরিটা ‘না’ করতে ফেলতে পারে। তা বলে আবার এমন ধীরে বলবেন না যাতে প্রশ্নকর্তা বিরক্ত হয়।

৪) ‘পাঁচ বছর পর আপনি নিজেকে কোন পর্যায়ে দেখতে চান’

এ প্রশ্নের জবাবে কখনোই বলবেন না, ‘আপনাদের প্রতিষ্ঠানে কর্মরত অবস্থায়।’ কারণ, উত্তরটা ঠিক মনে হলেও এতে আপনার উচ্চাকাঙ্ক্ষার ঘাটতি প্রকাশ পায়।

৫) ‘আমি আগে যেখানে চাকরি করতাম, সেই প্রতিষ্ঠানটা জঘন্য’

এ ধরনের মন্তব্য শুধু যে অপেশাদারই তা নয়, বরং আপনার চারিত্রিক সংকীর্ণতারও প্রকাশ। নতুন চাকরিদাতা প্রতিষ্ঠান আপনাকে নিয়োগ দেওয়ার আগে আপনার আগের কর্মস্থলে যোগাযোগ করতে পারে। কাজেই নিজের সম্ভাবনাটা নষ্ট করবেন না।

৬) ‘প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে অজ্ঞতা প্রকাশ নয়’

প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে এমন কোনো মন্তব্য করবেন না, যাতে সে সম্পর্কে আপনার পূর্ণ অজ্ঞতা প্রকাশ পায়। খোঁজখবর নিয়েই যেকোনো ইন্টারভিউতে যাওয়া উচিত। কর্তৃপক্ষ সে রকমই আশা করে। তাই বলতে পারেন, ‘আপনাদের ওয়েবসাইটটি একনজরে দেখেছি।’

Share Now
May 2025
M T W T F S S
 1234
567891011
12131415161718
19202122232425
262728293031