মোটা চালের দামও বাড়ছে। উৎপাদন ভালো হলেও চালের দাম বাড়ছে।এর ফলে নিম্নবিত্ত ও সীমিত আয়ের মানুষের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে চলে যাচ্ছে চালের দাম। কিন্তু কেন চালের দাম বাড়ছে তার কারণ জানালেন কৃষিমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য কৃষিবিদ ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক।
আজ বৃহস্পতিবার সকালে সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সম্মেলনকক্ষে ধানের উৎপাদন বাড়াতে অতি উচ্চফলনশীল ইনব্রিড ও সুপার হাইব্রিড জাতের আবাদ বৃদ্ধি সংক্রান্ত সভাশেষে সাংবাদিকদের চালের দাম বৃদ্ধির কারণগুলো ব্যাখ্যা করেন।
কৃষিমন্ত্রী বলেন, ‘করোনা মহামারির কারণে এ বছর আন্তর্জাতিক বাজারে অস্বাভাবিকভাবে খাদ্য-শস্যের দাম বেড়েছে। সারের দাম বেশি। এ বছর আন্তর্জাতিক বাজারে প্রতি টন ৪৫০ ডলারে গম বিক্রি হচ্ছে। আমরাও কিনছি। যেটা আগে ৩০০ ডলারের বেশি কোনো দিন ছিল না। চার গুণ বেড়েছে সারের দাম।’
তিনি বলেন, ‘যে গমের দাম টনপ্রতি ২৩০-২৮০ ডলারের মধ্যে ছিল, তা বেড়ে এখন ৪৫০ ডলারে দাঁড়িয়েছে। ২০২০-২১ অর্থবছরে দেশে গম আমদানি হয়েছিল ৪৮ লাখ টন, আর এ অর্থবছরে জানুয়ারি পর্যন্ত আমদানি হয়েছে মাত্র ১৬ লাখ টন। দাম বাড়ার কারণে গম আমদানি কম হচ্ছে। ফলে আটা, ময়দার দাম চালের চেয়ে বেশি, অথচ সবসময়ই আটার দাম চালের চেয়ে কম থাকে।’
কৃষিমন্ত্রী আরও বলেন, ‘দেশে ১০ লাখ রোহিঙ্গা রয়েছে। প্রতিবছর ২২-২৪ লাখ নতুন মুখ যোগ হচ্ছে। প্রাণি-মৎসের খাদ্য হিসেবেও চালের কিছু ব্যবহার হচ্ছে। মানুষের আয় এবং জীবনযাত্রার মানও বেড়েছে। এসব মিলে চালের চাহিদা ও কনজামশন দিন দিন বাড়ছে। ফলে চালের দাম কিছুটা বেশি, তবে এ মুহুর্তে দেশে খাদ্যের কোনো সংকট নেই।’
সভায় কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব সায়েদুল ইসলাম, মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, সংস্থাপ্রধান ও বেসরকারি সিড অ্যাসোসিয়েশনের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। বেসরকারি সিড অ্যাসোসিয়েশনের প্রতিনিধিরা হাইব্রিড বীজের ক্ষেত্রে তাদের মজুদ ও সক্ষমতা তুলে ধরেন।