দায়িত্বপ্রাপ্ত ভারতীয় প্রতিষ্ঠান স্যান্ডর সরকারের কাছে পাওনা টাকা পরিশোধের দাবিতে রাজধানীর জাতীয় কিডনি রোগ ও ইউরোলজি ইনস্টিটিউট এবং চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে ডায়ালাইসিস বন্ধ করে দেয় । আজ বুধবার সকালে এর প্রতিবাদে ঢাকা ও চট্টগ্রামে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন রোগীর স্বজনরা।
এ বিষয়ে জাতীয় কিডনি রোগ ও ইউরোলজি ইনস্টিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক ডা. মিজান গণমাধ্যমকে বলেন, ‘সেন্ডোর একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, তারা সরকারের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ। তারা আমাদের কেউ না, আমাদের নিয়ন্ত্রণেও না। তবুও আমরা সমাধানের চেষ্টা করছি। আশা করছি, দ্রুত সমাধান হয়ে যাবে।’
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামীম আহসান বলেন, ‘এই কার্যক্রম স্বাস্থ্য অধিদপ্তর পরিচালিত পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপ (পিপিপি) প্রকল্পের মাধ্যমে চলে। তাদের কিছু বকেয়া পাওনা রয়েছে। তাদের সেসব পাওনা পরিশোধ করার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। তারা মেনে নিয়ে কাজ শুরুর প্রতিশ্রুতিও দিয়েছিলেন। কিন্তু আজ সকালে তারা ডায়ালাইসিস বন্ধ করে চলে গেছেন।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে স্যানডোরের সহকারী মহাব্যবস্থাপক নাজমুল আহসান বলেন, ‘ঢাকা ও চট্টগ্রাম মিলে আমাদের ২১ কোটি টাকা বকেয়া রয়েছে। আমরা চাই না কোনো রোগী কষ্ট পাক। কিন্তু আমরা নিরুপায় হয়ে পড়েছি। টাকার অভাবে আমরা কাঁচামাল কিনতে পারছি না। আমাদের বেতন বকেয়া রয়েছে। এ অবস্থায় বন্ধ করে দেওয়া ছাড়া উপায় ছিল না।’
রোগীর স্বজনরা বলেন, বেসরকারি হাসপাতালে ডায়ালাইসিস করানো সবার পক্ষ সম্ভব নয়। অনেকের সপ্তাহে দুইবার ডায়ালাইসিস করাতে হয়। বেসরকারি হাসপাতালে ডায়ালাইসিস খরচ হয় কমপক্ষে আড়াই থেকে ৩ হাজার টাকা।
সরকারি হাসপাতালে সেই খরচ মাত্র ৫০০ টাকা।
সূত্র জানায়, চুক্তি অনুযায়ী কোম্পানিটি রোগী প্রতি ডায়ালাইসিসের জন্য ৪৮৬ টাকা নিতো। আর রোগীর প্রতিবার ডায়ালাইসিসের জন্য সরকারের ভর্তুকি হিসেবে ২ হাজার ১৮০ টাকা দেওয়ার কথা। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে তারা সরকারের কাছ থেকে পাওনা অর্থ পাচ্ছে না।
এদিকে, সবশেষ খবর অনুযায়ী- দীর্ঘ ছয় ঘণ্টা বন্ধ থাকার পর ঢাকা ও চট্টগ্রামে পুনরায় ডায়ালাইসিস সেবা শুরু হয়েছে। বিকেল ৩টার দিকে এ সেবা শুরু হয়। এ বিষয়ে স্যান্ডোরের সহকারী মহাব্যবস্থাপক নাজমুল আহসান বলেন, আলোচনা শেষে আজ দুপুরের পর আবারও ডায়ালাইসিস কার্যক্রম শুরু করেছেন তারা।