ঢাকা : মঙ্গলবার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ইরানের হামেদান বিমানঘাঁটি থেকে টুভোলেপ-৩৩এমথ্রি এবং সুখই-৩৪ নামে দুটি দূরপাল্লার বোমারু বিমান ব্যবাহার করে আইএস এবং আল নুসরার অবস্থান লক্ষ্য করে সিরিয়ার আলেপ্পো, দের আল-ইজর ও ইদলিবে হামলা চালানো হয়। সিরিয়ায় ইসলামিক স্টেটসহ (আইএস) বিভিন্ন জিহাদি গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে বিমান হামলা চালাতে রাশিয়া ইরানের পশ্চিমাঞ্চলের ঘাঁটি ব্যবহার করেছে। রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এই তথ্য দিয়েছে। খবর বিবিসির।
স্থানীয় অধিবাসীরা জানায়, রাশিয়ার হামলায় ২৭ জন বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছে।
বিবৃতিতে বলা হয়, হামলায় জিহাদি গোষ্ঠীগুলোর পাঁচটি বড় অস্ত্রাগার, বোমা-বারুদের ভান্ডার ও জ্বালানি ধ্বংস হয়ে গেছে। আলেপ্পো ও দের আল-ইজরের কাছাকাছি, ইদলিব অঞ্চলের সারাকেব গ্রাম এবং আলেপ্পো প্রদেশে আইএস অধ্যুষিত আল-বাব শহরে জিহাদিদের প্রশিক্ষণ শিবির বিমান হামলায় ধ্বংস হয়ে গেছে। এ ছাড়া জাফরা ও দের ইজরে তিনটি কমান্ড কেন্দ্রে হামলায় জিহাদি গোষ্ঠীর বহু যোদ্ধা নিহত হয়েছে।
‘দ্য সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস’ জানায়, আলেপ্পোর ভেতর ও বাইরে এবং সিরিয়ার অন্যান্য অঞ্চলে মঙ্গলবার ব্যাপক বিমান হামলা চালানো হয়েছে। বেশ কয়েকটি লক্ষ্যবস্তুতে ওই হামলায় অনেকে নিহত হয়েছে।
সিরিয়া ছাড়া এই প্রথম রাশিয়া অন্য কোনও দেশের ভূখণ্ড ব্যবহার করে সামরিক অভিযান চালাল। এ ঘটনা ইরান ও রাশিয়ার মঙ্গে সম্পর্ক ঘনিষ্ঠ হওয়ার ইঙ্গিত দিচ্ছে। ১৯৭৯ সালের পর ইরানও এই প্রথম অন্য কোনো দেশকে তাদের ভূখণ্ড ব্যবহার করে সামরিক অভিযান চালানোর অনুমতি দিল। এর ফলে মধ্যপ্রাচ্যে রাশিয়ার প্রভাব আরও জোরদার হবে। সেইসঙ্গে রাশিয়ার বিমান বাহিনী আরো কম সময়ে এবং কম খরচে সিরিয়ায় বিমান হামলা চালাতে পারবে।
বর্তমানে সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল–আসাদের সবচেয়ে বড় মিত্র হিসেবে পরিচিত রাশিয়া। বাশার সরকারের পক্ষ নিয়ে মস্কো সিরিয়ায় আইএস ও সরকারবিরোধী পক্ষের বিরুদ্ধে হামলা চালিয়ে যাচ্ছে।