ঢাকা : মঙ্গলবার সকাল সাতটার দিকে হাতটি মারা যায়। হাতিটিকে সুস্থ করে ভারতে পাঠানোর চেষ্টা করছিল বন অধিদপ্তর। বানভাসি হয়ে বাংলাদেশে এসে মারা গেল ভারতের সেই হাতিটি। কিছুদিন আগে যার নাম দেয়া হয়েছিল ‘বঙ্গবাহাদুর’।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার দুপুরে জামালপুরের সরিষাবাড়ির কামরাবাদ ইউনিয়নের কয়রা গ্রামে ট্রাংকুলাইজার বন্দুক থেকে ডার্ট ছুড়ে হাতিটিকে অচেতন করা হয়। এরপর জনতা হাতিটিকে টেনে ডাঙায় তোলে।
হাতিটি উদ্ধারকারী দলের প্রধান ঢাকার বন্যপ্রাণী অপরাধ দমন ইউনিটের পরিদর্শক অসীম মল্লিক জানান, মঙ্গলবার সকাল ৭টায় সরিষাবাড়ি উপজেলার কয়রা গ্রামের বাদাবিলে বঙ্গবাহাদুর মারা যায়।
তিনি জানান, গতকাল তাপমাত্রা বেশি থাকায় বঙ্গবাহাদুর অসুস্থ হয়ে কাদাপানিতে পড়ে যায়। সন্ধ্যা পর্যন্ত হাতিটির শরীরে ইনজেকশনের মাধ্যমে ১২টি স্যালাইন দেওয়া হয়। হাতিটিকে সুস্থ করে তুলতে সব ধরনের চিকিৎসা ও সেবা দেওয়া হয়েছিল।
ভারতের আসাম রাজ্য থেকে বন্যার পানিতে হাতিটি ভেসে আসে। গত ২৮ জুন বন্য হাতিটি ব্রহ্মপুত্র নদ বেয়ে কুড়িগ্রামের রৌমারী সীমান্ত দিয়ে প্রবেশ করে। এরপর বগুড়ার সারিয়াকান্দি হয়ে যমুনা নদীর পানিতে ভেসে সিরাজগঞ্জের কাজীপুর উপজেলার মনসুর নগর ইউনিয়নের দুর্গম ছিন্নার চরে ১১ দিন অবস্থান করে। ২৭ জুলাই হাতিটি সরিষাবাড়ি উপজেলায় আসে। তখন থেকে হাতিটিকে উদ্ধারের চেষ্টা চলছিল।
উদ্ধার করার পর অজ্ঞান হয়ে পড়ে থাকায় ভেটেরিনারি সার্জন সাড়ে ৫ লিটার স্যালাইনসহ ওষুধ প্রয়োগের পর ধীরে ধীরে সুস্থ হয়ে ওঠে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তাকে বাঁচানো গেল না।