আত্মহত্যা করেছেন স্ত্রীর পরকীয়া প্রেমের কারণে ফেসবুক লাইভে এসে সৌদিপ্রবাসী সবুজ সরকার (৩৫)। গত সোমবার রাত ১০টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। এর পরেই আত্মহত্যার ভিডিওটি ভাইরাল হয়। তবে পরবর্তীতে ভিডিওটি সরিয়ে ফেলা হয়। নিহত সবুজ কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার টনকী ইউনিয়নের মাজুর গ্রামের জাহাঙ্গীর আলম সরকারের ছেলে।
জানা যায়, সবুজ গত চার ডিসেম্বর সামাজিক যোগযোগমাধ্যম ফেসবুকে এক পোস্টে লেখেন, কষ্ট আর মানতে পারি না। এই দুনিয়াতে শুধু কষ্ট নিয়ে আসলাম। এ ছাড়া ওই পোস্টের কমেন্টে তিনি লেখেন, ‘একটা মেয়ে আমার জীবনটা নষ্ট করে দিয়েছে।’
এ বিষয়ে সবুজের চাচা বাবলু সরকার বলেন, ‘পার্শ্ববর্তী বাইড়া গ্রামের এক মেয়ের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে সবুজের। পাঁচ বছর আগে তিনি সৌদি যান। সৌদি যাওয়ার আট মাস পর মোবাইলে বিয়ে হয় তাদের। তারপর থেকে মেয়েটি আমাদের বাড়িতে আসা-যাওয়া করত। দুই বছর পর সবুজের স্ত্রী কয়েকজনের সঙ্গে পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়েন। এই নিয়ে সবুজের সঙ্গে মোবাইলে প্রায়ই ঝগড়া হতো। প্রতিবাদ করলে শাশুড়িকে মারধর করত। থানায় নির্যাতনের অভিযোগ দেওয়ার পর মোবাইলে স্বামী-স্ত্রীর আবারও ঝগড়া হয়। এ সময় স্ত্রী তাকে মরে যাওয়ার জন্য বলেন। পরে ফেসবুক লাইভে এসে আত্মহত্যা করেন সবুজ। বিয়ের কাবিন হয়নি, তবে মোবাইলে বিয়ের সময় পাঁচজন সাক্ষী ছিল।’
তিনি আরও জানান, তার মরদেহ দেশে আনা হবে কিনা এখনো সিদ্ধান্ত হয়নি। মালিকপক্ষ যদি খরচ বহন করে তাহলে দেশে আনা হবে। তা না হলে সেখানেই দাফন করতে হবে। পরিবার আর্থিকভাবে অসচ্ছল।
মুরাদনগর টনকী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জাকির হোসেন বলেন, ‘লাইভে আত্মহত্যার ভিডিও দেখেছি। খুবই মর্মান্তিক ঘটনা। তাদের বিয়ে মোবাইলে হয়েছে। তবে পরিবার থেকে আমার কাছে স্ত্রীর পরকীয়া নিয়ে অভিযোগ করেনি।’
বাঙ্গরা বাজার থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুজ্জামান তালুকদার বলেন, ‘গত চার ডিসেম্বর সবুজের স্ত্রী তার শাশুড়িকে নির্যাতন করেছেন। পরিবার থেকে এমন অভিযোগ পেয়েছি। সেটি তদন্ত করা হচ্ছে। তবে আত্মহত্যায় কারও প্ররোচনা ছিল কিনা তা তদন্ত করে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’