আগামী ১১ নভেম্বর দ্বিতীয় ধাপে নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলার ১০টি এবং সদর উপজেলার দুটিসহ মোট ১২টি ইউনিয়ন পরিষদের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে । ইতিমধ্যেই সবকটি ইউনিয়নে দলীয় প্রার্থী চূড়ান্ত করেছে আওয়ামী লীগ। তবে বিতর্কিত হওয়ায় দলীয় মনোনয়ন জমা দেওয়ার একদিন পরই রায়পুরার অলিপুরা নৌকার প্রার্থী পরিবর্তন করা হয়েছে। কিন্তু নতুন করে যাকে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে তাকে নিয়েও তৈরি হয়েছে বিতর্ক।
২০১৬ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে অলিপুরা ইউনিয়নে নির্বাচনে অংশ নেন উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি এস এম ওবায়দুল হক বাবলু। এবার ওই ইউনিয়নে দলের মনোনয়ন পেলেও আপত্তি আসে। পরে বৃহস্পতিবার বিকেলে প্রার্থী পরিবর্তন করে দলটি। নতুন করে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে উপজেলা যুবলীগের সহ-সভাপতি আলামিন ভুইয়া মাসুদকে।এ বিষয়ে জানতে চাইলে প্রথমে মনোনয়ন পাওয়া ওবায়দুল হক বলেন, ‘আমি গত নির্বাচনে বিদ্রোহী প্রার্থী ছিলাম না। দলের নেতা-কর্মীদের নির্দেশে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালেও আমার প্রতীকে কিছু ভোট পড়েছিল, যা পুঁজি করেই আমার প্রতিপক্ষরা আমার মনোনয়নের ব্যপারে আপত্তি জানিয়েছে। তবে আজ যাকে মনোনয়ন দেওয়া হলো তিনি আওয়ামী লীগের অনুপ্রবেশকারী হিসেবে চিহ্নিত। বিএনপি-ছাত্রদলের একনিষ্ঠ কর্মীর হাতে নৌকা তুলে দেওয়া হলো।’
মনোনয়ন পাওয়া আলামিন ভুইয়া মাসুদ বলেন, ‘তৃণমূল থেকে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ আমাকে একক প্রার্থী ঘোষণা করেছে। তবুও কেন বিদ্রোহী প্রার্থী দলীয় মনোনয়ন পেয়েছিলেন তা আমার জানা নেই। কেন্দ্রীয় কিমিটির যাচাই-বাছাইয়ের মধ্য দিয়ে আজ আমি দলীয় মনোনয়ন হাতে পেয়েছি।’ তবে ছাত্রদলের কমিটিতে নাম থাকার বিষয়টি সত্য নয় বলে দাবি করেন তিনি।
প্রার্থীতা পরিবর্তন হয়েছে নিশ্চিত করে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আফজাল হোসেন জানান, দলের সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে গত নির্বাচনে অংশ নেওয়ার অভিযোগে ওবায়দুল হকের মনোনয়ন পরিবর্তন করা হয়েছে। তবে কেন্দ্রীয় আপিল কমিটি যাচাই-বাছাই করে মনোনয়ন বাতিল এবং প্রদানের ক্ষমতা সংরক্ষণ করেন। এ ব্যাপারে আমাদের মন্তব্য করা ঠিক হবে না।
অলিপুরা ইউনিয়ন থেকে চার জনের নাম প্রস্তাব করে কেন্দ্রে পাঠায় উপজেলা আওয়ামী লীগ। তালিকার তিন নম্বরে স্থান পেয়েছেন চারবারের নির্বাচিত সাবেক চেয়ারম্যান ও উপজেলা কৃষকলীগের বর্তমান সভাপতি আলী আহমেদ দুলু।