আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কুমিল্লায় পূজামণ্ডপে পবিত্র কোরআন শরিফ রাখা ব্যক্তিকে সিসিটিভি ফুটেজ দেখে শনাক্ত করেছে । ইকবাল হোসেন (৩৫) নামে ওই ব্যক্তি কুমিল্লা নগরের সুজানগর এলাকার নূর আহমেদ আলমের ছেলে। তাকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে ইকবাল হোসেনকে চিহ্নিত করা হয়েছে বলে জানান কুমিল্লার পুলিশ সুপার ফারুক আহমেদ। গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় তিনি একটি সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘পুলিশের একাধিক সংস্থার তদন্তে এই নাটকীয় অগ্রগতি হয়েছে। ইকবাল হোসেনকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।’এর আগে গত বুধবার ভোরে কুমিল্লা শহরের নানুয়াদিঘির উত্তরপাড়ে দর্পণ সংঘের উদ্যোগে আয়োজিত অস্থায়ী পূজা মণ্ডপে পবিত্র কোরআন দেখা যায়। এরপর কোরআন অবমাননার অভিযোগ তুলে ওই মণ্ডপে হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাঙচুর চালানো হয়।এ ঘটনার পর কোরআন অবমাননার অভিযোগে চাঁদপুরে সংঘর্ষে চারজন নিহত হয়। নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে হিন্দুদের মন্দির, মণ্ডপ ও দোকানপাটে ভাঙচুর চালানো হয়। ওই ঘটনায় দুজন নিহত হয়। এ ছাড়া রংপুরের পীরগঞ্জে হিন্দু বসতিতে হামলা করে ভাঙচুর, লুটপাট ও ঘরবাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়।
জানা যায়, পূজা মণ্ডপে পবিত্র কোরআন রাখার ঘটনা পর পুলিশের একাধিক টিম তদন্তে নামে। দীর্ঘ অনুসন্ধানের পর ইকবাল হোসেনের ব্যাপারে নিশ্চিত হয় পুলিশ। তবে পুলিশ বলছে, ইকবাল হোসেন ভবঘুরে। কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতা আছে কি না তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। এ ব্যাপারে আগামীকাল বিস্তারিত জানানোর কথা জানিয়েছে পুলিশ।