আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যায় দুদক প্রধান কার্যালয়ের সামনে সাংবাদিকদের জানান কমিশন চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মঈনউদ্দীন আবদুল্লাহ। ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির বিরুদ্ধে ‘৩০০ কোটি টাকা আত্মসাৎ ও পাচারের’ অভিযোগের তদন্ত থেকে সরে দাঁড়িয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘ই-কমার্স বা ইভ্যালির বিষয়টি দুদকের শিডিউলভুক্ত নয়। মানিলন্ডারিংয়ের কথা যখন হয়েছিল তখন আমরা অনুসন্ধানে নেমেছিলাম। এখন মানিলন্ডারিংসহ ইভ্যালির বিষয়টি অন্য সংস্থা দেখবে।’ইভ্যালির বিষয়ে দুদক আর কোনো তদন্ত করবে না- এমন প্রশ্নের জবাবে মোহাম্মদ মঈনউদ্দীন আবদুল্লাহ বলেন, ‘ই-ভ্যালির বিষয়টি দেখার দায়িত্ব কমিশনের ওপর যেহেতু পড়ে না। এটি গ্রাহকদের সাথে প্রতারণা ও স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয় সেই জন্য তা পুলিশ দেখবে, তা সিআইডি দেখবে।’
ইভ্যালির বিরুদ্ধে অর্থপাচার ও আত্মসাতের অভিযোগ অনুসন্ধানে নামার সাড়ে তিন মাসের মাথায় তদন্ত থেকে সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নিলো সংস্থাটি। তবে অর্থপাচারে অভিযোগ কীভাবে দুদকের শিডিউলের মধ্যে পড়ে না- সে বিষয়ে সন্তোষজনক কোনো ব্যাখ্যা দেননি চেয়ারম্যান মঈনউদ্দীন আবদুল্লাহ দেননি।
এর আগে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে ইভ্যালির বিষয়ে গ্রাহক ও মার্চেন্টের ৩৩৮ কোটি ৬২ লাখ টাকা আত্মসাৎ ও পাচারের অভিযোগ পেয়ে গত ৮ জুলাই থেকে অনুসন্ধানে নামে দুদক। এরপর দিন ইভ্যালির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ রাসেল ও তার স্ত্রীর প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা চাইলে ১৫ জুলাই নিষেধাজ্ঞা জারি করেন আদালত।
প্রতারণার অভিযোগে এক গ্রাহকের করা মামলায় গত ১৬ সেপ্টেম্বর মোহাম্মদ রাসেল এবং তার স্ত্রী মোছা. শামীমা নাসরিনকে তাদের ঢাকার মোহাম্মদপুরের বাসা থেকে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করে র্যাব। এরপর ওই দিন তাদেরকে গুলশান থানায় সোপর্দ করা হয়। এরপর তাদেরকে কয়েক দফায় রিমান্ডে পায় পুলিশ। এখনও তারা কারাগারে রয়েছেন।