শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি আগামী জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে একাত্তর ও পঁচাত্তরের ঘাতকরা দেশকে অস্থিতিশীল করার পাঁয়তারা চালাচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন । আজ মঙ্গলবার দুপুরে চাঁদপুর সদর উপজেলা অডিটোরিয়ামে তিনি এ কথা বলেন।
দীপু মনি বলেন, ‘আমরা অসাম্প্রদায়িক দেশ পেয়েছি। এই জন্যই যুদ্ধ করে স্বাধীন করা হয়েছিল। বঙ্গবন্ধু ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে একটি সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠিত করেছেন। তবে সকল অপশক্তিরা কোনো না কোনো প্রমাণ রেখে যান। এর মাধ্যমে আমরা অপশক্তির মানুষগুলো চিনতে পারি। শেখ হাসিনার মাধ্যমে বাংলাদেশ বিশ্বের বুকে যখন মাথা তুলে দাঁড়িয়েছে তখন একাত্তর পঁচাত্তরের ঘাতকরা এই অগ্রযাত্রাকে থামিয়ে দিতে চাইছে। তারা সরকারের অগ্রযাত্রাকে ক্ষুণ্ন করতে চায়। এত বছর পরও সেই অপশক্তিরা এখনও তৎপর।’চাঁদপুর সদর উপজেলা অডিটোরিয়ামে সম্প্রীতির সমাবেশে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘যারা সনাতন ধর্মাবলম্বীদের প্রতিমা ভাঙচুর করেছে এবং ঘরবাড়ি পুড়িয়ে দিচ্ছে, সেই অপশক্তিকে রুখতে হবে। আমরা যারা বাঙালি ভাবি, যারা আওয়ামী লীগ করি, যারা নিজেকে মানুষ বলে দাবি করি, তাদের একসঙ্গে সেই অপশক্তির বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে। নিরাপত্তার দায়িত্ব সবাইকে নিতে হবে। এক প্রতিবেশী আরেক প্রতিবেশীর দায়িত্ব নিতে হবে। এভাবে যদি আমরা সজাগ থাকি, তাহলে ওই দুস্কৃতিকারীরা পার পাবে না।’
বিএনপির উদ্দেশে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘যারা প্রতিদিন কারফিউ দিয়ে দেশ পরিচালনা করেছে, তারা আজ গণতন্ত্রের কথা বলে। যেই তত্ত্বাবধায়ক সরকার মৃত, অথচ সেটিই এখন তারা চায়।’
অনুষ্ঠানে জেলা প্রশাসক অঞ্জনা খান মজলিশের সভাপতিত্বে বক্তব্য দেন, পুলিশ সুপার মো. মিলন মাহমুদ, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ওচমান গণি পাটওয়ারী, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নাছির উদ্দিন আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক আবু নঈম পাটওয়ারী দুলাল, সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার এম এ ওয়াদুদ, জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ডা. জে আর ওয়াদুদ টিপু, চাঁদপুর সদর উপজেলার পরিষদের চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাস নাজিম দেওয়ান, পৌরসভার মেয়র অ্যাড. জিল্লুর রহমান জুয়েল, হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রনজিত রায় চৌধুরী প্রমুখ।