এক পোশাককর্মীকে (১৭) অপহরণের পর নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলার ঝাউচর গ্রামে নিয়ে এসে ধর্ষণ করে হত্যার অভিযোগ উঠেছে চট্টগ্রামের বায়েজিদ বোস্তামী থেকে । এ ঘটনায় আজ মঙ্গলবার বিকেলে ওই তরুণীর পিতা বাদী হয়ে সোনারগাঁ থানায় মামলা দায়ের করেছেন। সেই মামলার ভিত্তিতে পুলিশ অভিযান চালিয়ে তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে।

মামলার বিবরনীতে ওই তরুণীর বাবা টিটন মিয়া উল্লেখ করেন, তিনি চট্টগ্রামের বায়েজিদ বোস্তামী থানার আমিন কলনী এলাকার বাসিন্দা। তার মেয়ে একটি পোশাক কারখানায় চাকরি করতো। গত ৯ অক্টোবর রাত ৯টায় কারখানা থেকে কাজ শেষে ফেরার পথে রুবি গেইট এলাকা থেকে নিখোঁজ হয়। এ ঘটনায় বিভিন্ন স্থানে খুঁজে না পেয়ে পরের দিন বায়েজিদ বোস্তামী থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন।পরে গতকাল সোমবার রাত ১১টায় তার দুর সম্পর্কের ভাতিজা ওমর ফারুক তাকে মুঠোফোনে জানান, তার মেয়েকে অপহরণ করে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলার পিরোজপুর এলাকার ঝাউচর গ্রামের সাগর মিয়ার ভাড়া বাড়িতে তৈয়ব হোসেন ও তার বন্ধুরা আটক করে ধর্ষণ করেছেন। ধর্ষণের ফলে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ হলে স্থানীয় একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ওই তরুণীকে মৃত ঘোষণা করেন। খবর পেয়ে পুলিশ অভিযান চালিয়ে তৈয়ব হোসেন, তার দুই বন্ধু হাসান মিয়া ও আমজাদ হোসেন রায়হানকে গ্রেপ্তার করেছে।

গ্রেপ্তার হওয়া তৈয়ব হোসেনের বাড়ি কুমিল্লার নাঙ্গলকোট উপজেলার বায়েরা গ্রামে। হাসানের বাড়ি একই এলাকার ভবানীপুর গ্রামে এবং আমজাদ হোসেন রায়হানের বাড়ি নোয়াখালীর হুগলি এলাকায়।

এদিকে খবর পেয়ে নিহত ওই তরুণীর বাবা-মা ও স্বজনরা সোনারগাঁ থানায় ছুটে আসেন এবং কান্নায় ভেঙে পড়েন। তারা মেয়ের হত্যাকারীদের বিচারের দাবি জানান।

নিহত তরুণীর মা রিনা বেগম বলেন, ‘আমার মেয়েকে অপহরণ করে তৈয়ব হোসেন ও তার বন্ধুরা মিলে হত্যা করেছে। তিনি তাদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমুলক শাস্তির দাবি করেন।’

এদিকে থানা হাজতে আটক তৈয়ব হোসেন জানান, তিনি সোনারগাঁয়ের মেঘনাঘাট এলাকায় একটি বেসরকারি কোম্পনিতে চাকরি করেন। ওই তরুণীর সঙ্গে মুঠোফোনে এক বছর ধরে প্রেম চলছিল। তরুণীর কথায় তৈয়ব হোসেন চট্টগ্রামে গিয়ে তাকে নিয়ে এসে বিয়ে করে সোনারগাঁয়ের ভাড়া বাসায় থাকতেন। তিনি কোনো অপহরণ করেননি বলে দাবি করেন।

এ বিষয়ে সোনারগাঁ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ হাফিজুর রহমান জানান, এ ঘটনায় থানায় মামলা নেওয়া হয়েছে। পুলিশ প্রধান আসামিসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে।

Share Now
January 2025
M T W T F S S
 12345
6789101112
13141516171819
20212223242526
2728293031