পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলার আলোচিত নায়িকা পরীমনিকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেছে । আজ সোমবার ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতের জিআর শাখায় এ চার্জশিট দাখিল করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সিআইডির পরিদর্শক কাজী গোলাম মোস্তফা।
চার্জশিটে পরীমনি ছাড়াও আরও দুজনকে আসামি করা হয়েছে। তারা হলেন-পরীমনির ম্যানেজার আশরাফুল ইসলাম দিপু ও কবীর হাওলাদার। আসামি কবির হাওলাদার পরীমনির বড় খালু বলে জানা গেছে। তারা সবাই জামিনে রয়েছেন।চার্জশিটের বিষয়ে পরীমনির আইনজীবী নীলাঞ্জনা রিফাত সুরভী বলেন, ‘শুনেছি চার্জশিট দাখিল হয়েছে। এখনও চার্জশিট চোখে দেখতে পারিনি। আগামীকাল চার্জশিট আদালতে উপস্থাপন হবে বলে জানতে পেরেছি। যেহেতু চার্জশিট হাতে পাইনি। তাই এখন এ বিষয়ে মন্তব্য করা সম্ভব নয়।’গত ৪ আগস্ট বিকেলে রাজধানীর বনানীর বাসায় অভিযান চালিয়ে পরীমনিকে আটক করে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। অভিযানে তার বাসা থেকে বিপুল পরিমাণ মদ জব্দ করা হয়। পরে রাজধানীর বনানী থানায় মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দায়ের করে পরীমনিকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
ওই মামলায় গত ৫ আগস্ট পরীমনির চার দিনের ও গত ১০ আগস্ট দ্বিতীয় দফায় দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। রিমান্ড শেষে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। পরবর্তীতে তৃতীয়দফা রিমান্ড আবেদনে গত ১৯ আগস্ট পরীমনির জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করে আদালত এক দিনের রিমান্ড আদেশ দেন। ওই রিমান্ড শেষে গত ২১ আগস্ট পরীমনিকে কারাগারে পাঠানো হয়। এরপর গত ৩১ আগস্ট তিন দফায় সাত দিনের রিমান্ড শেষে ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কেএম ইমরুল কায়েশ পরীমনিকে ৫০ হাজার টাকা মুচলেকায় পুলিশ প্রতিবেদন দাখিল না হওয়া পর্যন্ত জামিন দেন। পরদিন গাজীপুরের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় নারী কারাগার থেকে মুক্ত হন তিনি।
এরপর মামলার প্রক্রিয়া আদালতে হাজির হয়ে শুনানিতে অংশ নেন এই নায়িকা। তদন্ত কর্মকর্তার সুপারিশের ভিত্তিতে গত ২৮ সেপ্টেম্বর পরীমনির হ্যারিয়ার গাড়ি, আইফোন, ল্যাপটপসহ জব্দ ১৬টি আলামত ফেরত দেওয়ার নির্দেশ দেন আদালত।
মামলা সূত্রে জানা যায়, পরীমনি ২০১৬ সাল থেকে মাদকসেবন করতেন। এমনকি এলএসডি ও আইসও সেবন করতেন। এজন্য বাসায় একটি ‘মিনিবার’ তৈরি করেন। সেখানে নিয়মিত ‘মদের পার্টি’ করতেন। চলচ্চিত্র প্রযোজক নজরুল ইসলাম রাজসহ আরও অনেকে তার বাসায় অ্যালকোহলসহ বিভিন্ন ধরনের মাদকের সরবরাহ করতেন ও পার্টিতে অংশ নিতেন। গত জুনে সাভারের ব্লোট ক্লাবে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগ তুলে আলোচনায় আসেন পরীমনি।
মাদক মামলায় পরীমনিকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলার আলোচিত নায়িকা পরীমনিকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। আজ সোমবার ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতের জিআর শাখায় এ চার্জশিট দাখিল করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সিআইডির পরিদর্শক কাজী গোলাম মোস্তফা।
চার্জশিটে পরীমনি ছাড়াও আরও দুজনকে আসামি করা হয়েছে। তারা হলেন-পরীমনির ম্যানেজার আশরাফুল ইসলাম দিপু ও কবীর হাওলাদার। আসামি কবির হাওলাদার পরীমনির বড় খালু বলে জানা গেছে। তারা সবাই জামিনে রয়েছেন।চার্জশিটের বিষয়ে পরীমনির আইনজীবী নীলাঞ্জনা রিফাত সুরভী বলেন, ‘শুনেছি চার্জশিট দাখিল হয়েছে। এখনও চার্জশিট চোখে দেখতে পারিনি। আগামীকাল চার্জশিট আদালতে উপস্থাপন হবে বলে জানতে পেরেছি। যেহেতু চার্জশিট হাতে পাইনি। তাই এখন এ বিষয়ে মন্তব্য করা সম্ভব নয়।’গত ৪ আগস্ট বিকেলে রাজধানীর বনানীর বাসায় অভিযান চালিয়ে পরীমনিকে আটক করে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। অভিযানে তার বাসা থেকে বিপুল পরিমাণ মদ জব্দ করা হয়। পরে রাজধানীর বনানী থানায় মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দায়ের করে পরীমনিকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
ওই মামলায় গত ৫ আগস্ট পরীমনির চার দিনের ও গত ১০ আগস্ট দ্বিতীয় দফায় দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। রিমান্ড শেষে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। পরবর্তীতে তৃতীয়দফা রিমান্ড আবেদনে গত ১৯ আগস্ট পরীমনির জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করে আদালত এক দিনের রিমান্ড আদেশ দেন। ওই রিমান্ড শেষে গত ২১ আগস্ট পরীমনিকে কারাগারে পাঠানো হয়। এরপর গত ৩১ আগস্ট তিন দফায় সাত দিনের রিমান্ড শেষে ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কেএম ইমরুল কায়েশ পরীমনিকে ৫০ হাজার টাকা মুচলেকায় পুলিশ প্রতিবেদন দাখিল না হওয়া পর্যন্ত জামিন দেন। পরদিন গাজীপুরের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় নারী কারাগার থেকে মুক্ত হন তিনি।
এরপর মামলার প্রক্রিয়া আদালতে হাজির হয়ে শুনানিতে অংশ নেন এই নায়িকা। তদন্ত কর্মকর্তার সুপারিশের ভিত্তিতে গত ২৮ সেপ্টেম্বর পরীমনির হ্যারিয়ার গাড়ি, আইফোন, ল্যাপটপসহ জব্দ ১৬টি আলামত ফেরত দেওয়ার নির্দেশ দেন আদালত।
মামলা সূত্রে জানা যায়, পরীমনি ২০১৬ সাল থেকে মাদকসেবন করতেন। এমনকি এলএসডি ও আইসও সেবন করতেন। এজন্য বাসায় একটি ‘মিনিবার’ তৈরি করেন। সেখানে নিয়মিত ‘মদের পার্টি’ করতেন। চলচ্চিত্র প্রযোজক নজরুল ইসলাম রাজসহ আরও অনেকে তার বাসায় অ্যালকোহলসহ বিভিন্ন ধরনের মাদকের সরবরাহ করতেন ও পার্টিতে অংশ নিতেন। গত জুনে সাভারের ব্লোট ক্লাবে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগ তুলে আলোচনায় আসেন পরীমনি।