আদালত ৪৬০ কোটি টাকার মালিক বনে যাওয়া টেকনাফ স্থলবন্দরের শুল্ক স্টেশনের সাবেক কম্পিউটার অপারেটর নুরুল ইসলামকে দুই দফা চার দিনের রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠিয়েছেন। আজ মঙ্গলবার মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদপুর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) গোলাম কিবরিয়া বিশেষ ক্ষমতা আইনের মামলায় তিন দিনের রিমান্ড শেষে নুরুল ইসলামকে আদালতে হাজির করেন।
একই সঙ্গে আসামির জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন। ঢাকা মহানগর হাকিম আবু সুফিয়ান মো. নোমান শুনানি শেষে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
গত ১৪ সেপ্টেম্বর দিবাগত রাতে রাজধানীর মোহাম্মদপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে নুরুল ইসলামকে আটক করে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। এ সময় তার কাছ থেকে তিন লাখ ৪৬ হাজার ৫০০ জাল টাকা, তিন লাখ ৮০ হাজার মিয়ানমারের মুদ্রা, চার হাজার ৪০০ পিস ইয়াবা ও নগদ দুই লাখ এক হাজার ১৬০ টাকা উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় র্যাব-৩ এর নায়েব সুবেদার ফিরোজ খান মোহাম্মদপুর থানায় মাদক ও বিশেষ ক্ষমতা আইনে পৃথক দুটি মামলা দায়ের করেন।
গত ১৫ সেপ্টেম্বর মাদক মামলায় নুরুল ইসলামের একদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। এরপর গত ১৭ সেপ্টেম্বর বিশেষ ক্ষমতা আইনের মামলায় তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়।
ভোলার নুরুল ইসলাম কক্সবাজারের টেকনাফে আসেন ১৯৯৮ সালে। ২০০১ সালে টেকনাফ স্থলবন্দরে শুল্ক স্টেশনে চুক্তিভিত্তিক কম্পিউটার অপারেটর পদে চাকরি পান। বেতন দৈনিক ১৩০ টাকা। মাস শেষে তার বেতন দাঁড়ায় তিন হাজার ৯০০ টাকা। সেই নুরুল এখন ৪৬০ কোটি টাকার মালিক বলে জানিয়েছে র্যাব।
র্যাবের দেওয়া তথ্য বলছে, রাজধানীতে নুরুলের রয়েছে ছয়টি বাড়ি ও ১৩টি প্লট। এর বাইরে সাভার, টেকনাফ ও সেন্ট মার্টিনে আছে আরও ৩৭টি প্লট, জমি ও বাগানবাড়ি।