ঢাকা : নিউইয়র্কের কুইন্সে মসজিদ থেকে মাত্র কয়েক গজ দূরে মাথায় গুলি করে হত্যা করা হয় বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ইমাম মাওলানা আকনজি ও তার সহযোগী তারা উদ্দিনকে। ধর্ম দিয়ে উগ্রবাদী আচরণের কারণেই যুক্তরাষ্ট্রে মুসলমানরা আক্রমণের শিকার হচ্ছেন বলে দেশটির বাণিজ্যিক শহর নিউ ইর্য়কের মেয়র বিল ডে ব্লাসিও। যুক্তরাষ্ট্রের এই শহরেই গুলিতে ইমাম এবং তার সহযোগী নিহতের একদিন পর দেয়া এক বিবৃতিতে এসব কথা বলেন মেয়র।
এক বিবৃতিতে ব্লাসিও বলেন, ‘মাওলানা আকনজি এবং তারা উদ্দিনকে হত্যার কারণ সম্পর্কে এখনো নিশ্চিত নই। কিন্তু ধর্মান্ধতার কারণে যে আমাদের মুসলমান সম্প্রদায় বারবার লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হচ্ছে, সেটা বুঝতে পারছি।’ তিনি বলেন, ‘আমরা ভেদাভেদ দূর করতে কাজ করছি, ধর্মান্ধতার কারণে এটি এখনো জটিল। এছাড়া এটি আমাদের শহর এবং দেশের জন্য হুমকি এবং এটি আমাদের মহত্বকে নষ্ট করছে।’
নিউইয়র্কে বসবাসরত মুসলিমদের দাবি, এটি ছিল ‘টার্গেট কিলিং’। যদিও পুলিশ এই দাবি অস্বীকার করে বলেন, ধর্মীয় বিশ^াসের জন্য তাদের হত্যা করা হয়েছে এমন প্রমাণ নেই।
পুলিশ জানায়, আল ফোরকান মসজিদ থেকে নামাজ শেষে বেরিয়ে আসার সময় তাদেরকে খুন করা হয়। পেছন থেকে গুলি চালিয়ে তাদের হত্যা করা হয়েছে। ওজোন পার্ক এলাকা থেকে এক ব্যক্তিকে অস্ত্র নিয়ে বেরিয়ে যেতে দেখা গেলেও, এই ঘটনায় এখনো কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি। সম্ভাব্য হামলাকারীর একটি স্কেচ রবিবারই তাদের হাতে এসেছে।
পুলিশ জানায়, হত্যার সময় আকনজির পকেটে এক হাজার ডলার ছিল। কিন্তু হত্যার পরেও তার পকেটে সেই অর্থ অক্ষত ছিল।
শনিবার রাতে নিউইয়র্কে বসবাসরত মুসলিমরা জড়ো হয়ে ‘ন্যায়বিচারের’ দাবি জানায়।
ক্যালিফোর্নিয়ার বারক্লে এবং কাউন্সিল অন আমেরিকান-ইসলামিক রিলেশনের করা এক প্রতিবেদনে বলা হয়, শুধুমাত্র গত বছরে দেশটিতে মসজিদকে কেন্দ্র করে ৭৮টি হামলার ঘটনা ঘটেছে।