‘দেশে এত বেশি অনলাইনের প্রয়োজন নেই অনিবন্ধিত সব নিউজ পোর্টাল বন্ধে হাইকোর্টের নির্দেশের পরের দিন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেছেন। থাকা সমীচীনও নয়। আদালতের নির্দেশ পেলে নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যে আমরা কিছু অনলাইন বন্ধ করে দেব।’

আজ বুধবার দুপুরে সচিবালয়ে তথ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এ কথা বলেন। এর আগে গতকাল মঙ্গলবার অনিবন্ধিত অনলাইন নিউজপোর্টাল বন্ধের নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। আদালতের আদেশ পাওয়ার সাতদিনের মধ্যে বিটিআরসির চেয়ারম্যান ও প্রেস কাউন্সিলের চেয়ারম্যানকে এ নির্দেশ বাস্তবায়ন করতে বলা হয়েছে।

এ বিষয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ‘এখন যেগুলো রেজিস্ট্রেশনপ্রাপ্ত সেগুলো ছাড়া ভবিষ্যতে আর কোনো অনলাইন বের হবে না এমন কোনো নিয়ম নেই বা আজ যে পত্রপত্রিকা আছে সেগুলো ছাড়া ভবিষ্যতে আর কোনো পত্রপত্রিকা বের হবে না এমনও কোনো নিয়ম নেই। এমন নিয়ম কোথাও নেই। আমাদের দেশে যেমন নেই অন্য কোনো দেশে আছে বলেও আমার জানা নেই।’

তিনি বলেন, ‘আদালতের আদেশ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং সহায়ক। যেসব অনলাইন সত্যিকার অর্থে গণমাধ্যম হিসেবে কাজ করে না, বরং নিজস্ব বিশেষ উদ্দেশ্য নিয়ে কাজ করে এবং ব্যাঙের ছাতার মতো এত অনলাইন আসলে দেশে প্রয়োজন নেই।’

‘যার যেমন ইচ্ছা একটা অনলাইন খুলে বসবে এবং সেটি নিয়ে যেমন ইচ্ছা তেমন সংবাদ পরিবেশন করবে, মিথ্যা সংবাদ পরিবেশন করবে, গুজব রটানোর কাজে ব্যস্ত হবে, অন্যের চরিত্র হনন করবে, ব্যবসায়িক উদ্দেশ্যে পরিচালিত হবে, কোনো ব্যবসায়ীর স্বার্থ সংরক্ষণের জন্য সেখানে লেখালেখি হবে, এটি কোনোভাবেই সমীচীন নয়। সে ক্ষেত্রে এ আদেশ অবশ্যই সহায়ক আদেশ’ বলেন হাছান মাহমুদ।

তিনি বলেন, ‘আমরা আদালতের লিখিত আদেশের কপি হাতে পাওয়ার পরপরই আদালত যে সময়সীমা নির্ধারণ করে দিয়েছেন সে সময়ের মধ্যে কিছু অনলাইন বন্ধ করে দেওয়া হবে। তবে ভবিষ্যতে অনলাইন নিবন্ধন দিতে হবে। অনলাইন নিবন্ধন আমরা একটি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে করছি, সেটি আমরা আদালতের কাছে উপস্থাপন করবো।’

‘ইতোমধ্যে অনেকগুলো অনলাইন বন্ধ করা হয়েছে। আদালতের নির্দেশে অনলাইন বন্ধ করার প্রক্রিয়ার ক্ষেত্রে আমাদের জন্য সহায়ক। আমরা কিছু অনলাইন বন্ধ করব, একইসঙ্গে আদালতের নজরে আনব এটি একটি চলমান প্রক্রিয়া। যাচাই-বাছাই ছাড়াই যদি সবগুলোকে একসঙ্গে বন্ধ করে দেওয়া হয় সেটি কত অতটুকু সমীচীন সেটাও ভাবার বিষয়, সেটিও আমরা আদালতের নজরে আনব।’

আরেক প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা যেভাবে অনলাইনের নিবন্ধন দিচ্ছি, একইভাবে ইউটিউব বা আইপিটিভি নিবন্ধন দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করেছি। এখনো কাউকে নিবন্ধন দেওয়া হয়নি। আমরা আশা করেছিলাম গত মাস থেকে দিতে পারবো। কিন্তু তদন্ত রিপোর্ট না পাওয়ায় আমরা দিতে পারিনি। ব্যাঙের ছাতার মতো আইপিটিভি করার যে সুযোগ রয়েছে এটা কোনোভাবেই সমীচীন নয়। যে সব আইপিটিভি বিশেষ উদ্দেশ্য নিয়ে পরিচালিত হচ্ছে এবং নিজেকে টেলিভিশন চ্যানেলের মতো জাহির করছে দ্রুত তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবো।’

Share Now
December 2024
M T W T F S S
 1
2345678
9101112131415
16171819202122
23242526272829
3031