কারাগারে থাকা নেতাদের মুক্তির জন্য সরকারের সঙ্গে সমঝোতা করতে দফায়-দফায় বৈঠক করছেন সর্ববৃহৎ অরাজনৈতিক ইসলামি সংগঠন হেফাজতে ইসলামের শীর্ষ নেতারা। নেতাদের মুক্তির পরই সংগঠন গোছাতে চায় সংগঠনটি। নেতাদের মুক্তির জন্য স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীসহ সরকারের একাধিক শীর্ষ কর্তার সঙ্গে বৈঠক করছেন সংগঠনটির শীর্ষ নেতারা। গত ১৮ আগস্ট স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করেন হেফাজতের একটি প্রতিনিধি দল। বৈঠকে নেতৃত্ব দেন সংগঠনের মহাসচিব মাওলানা নূরুল ইসলাম জিহাদী।
বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, সম্প্রতি কারাগারে থাকা হেফাজতের বেশ কিছু নেতা জামিনে মুক্তি পাওয়াই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামালকে ধন্যবাদ জানানোর পাশাপাশি আরও কিছু দাবি নিয়ে তার সঙ্গে দেখা করেন। গত বুধবার রাতে ধানমন্ডির সরকারি বাসভবনে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেন সংগঠনটির ৫ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল। ওই বৈঠকে হেফাজত নেতারা কারাগারে আটক থাকা বাকি নেতাদের দ্রুত মুক্তি ও কওমি মাদ্রাসা খুলে দেওয়ার জন্য স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন। হেফাজতের নেতাদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কারাগারে থাকা নেতাদের মুক্তির বিষয়টি গুরুত্বসহকারে দেখবেন বলে আশ্বাস দেন তিনি।
হেফাজত সূত্রে জানা গেছে, গত বছরের ১৫ নভেম্বর হেফাজতের আংশিক কেন্দ্রীয় কমিটি ঘোষণা হলেও পূর্ণাঙ্গ কমিটির কাজে হাত দেয়নি সংগঠনটি। এ মুহূর্তে সরকারের সঙ্গে সমঝোতা করে আটক নেতাদের মুক্তির জন্য শীর্ষ নেতারা কাজ করছেন। সরকারের কঠোর অবস্থানের কারণে কোণঠাসা হেফাজতের নেতারা সরকারের সঙ্গে সমঝোতার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।
এ বিষয়ে বক্তব্য জানতে একাধিকবার চেষ্টা করেও হেফাজতে ইসলামের মহাসচিব মাওলানা নূরুল ইসলাম জিহাদীর সঙ্গে কথা বলা সম্ভব হয়নি। তবে হেফাজতের একজন মধ্যম সারির নেতা বৈঠকের বিষয়টি নিশ্চিত করেন। হেফাজতের মহাসচিব নূরুল ইসলাম জিহাদীর নেতৃত্বে তিনজন সহকারী মহাসচিব ও একজন নায়েবে আমির ওই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন। তারা হেফাজতের নির্দোষ ব্যক্তিদের মুক্তি ও কওমি মাদ্রাসা খুলে দেওয়াসহ কয়েকটি দাবি জানান।