যুবলীগ নেতা অমিত রাজ প্রেম করে বিয়ে এবং অতঃপর দাম্পত্য কলহের জের ধরে এক সন্তানসহ স্ত্রীকে ডিভোর্সের পর দুধ দিয়ে গোসল করেছেন । দুধ দিয়ে গোসলের ছবি ও ভিডিও নিজের ফেসবুকে দিলে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়। গতকাল শনিবার মির্জাপুর উপজেলার বাঁশতৈল ইউনিয়নের অভিরামপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেন যুবলীগ নেতা অমিত রাজ। তিনি বলেন, ‘এখন থেকে আমি ও আমার পরিবার বিপদ থেকে মুক্ত। তাই দুধ দিয়ে গোসল করে নিজেকে পাপ মুক্ত করে করেছি।’ তার দাদী তাকে দুধ দিয়ে গোসল করিয়ে ঘরে তুলে নিয়েছেন বলে জানিয়েছেন অমিত রাজ।

অমিত রাজ মির্জাপুর উপজেলার বাঁশতৈল ইউনিয়ন যুবলীগের সহ সম্পাদক। তিনি ওই ইউনিয়নের অভিরামপুর গ্রামের মজিবুর রহমানের ছেলে।
জানা গেছে, অমিত রাজ পার্শ্ববর্তী উপজেলার সখিপুর উপজেলার হাতিবান্ধা ইউনিয়নের রাজাবাড়ি গ্রামের মিজানুর রহমানের মেয়ে টুম্পার সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক হয়। গত চার বছর পূর্বে তারা বিয়ে করেন। তাদের সংসারে তারিয়ান চাঁদ নামে তিন বছর বয়সী একটি পুত্র সন্তান রয়েছে।

এদিকে, প্রেম করে বিয়ে করলেও তাদের সংসারে কিছু দিন পর থেকে কলহ শুরু হয়। ক্রমেই তা বাড়তে থাকে। তাদের সংসারে ফাটল দেখা দেওয়ায় দুই পক্ষের অভিভাবক বিপাকে পরেন।

অমিত রাজ বলেন, পারিবারিক কলহের জের ধরে গত তিন মাস পূর্বে টুম্পা বাড়ি থেকে চলে যায়। এ নিয়ে অমিত রাজ মির্জাপুর থানায় একটি সাধারন ডায়েরি করে। কিছু দিন পূর্বে টুম্পা বাড়ি ফিরে এসে উল্টো অমিত রাজ ও তার পরিবারের নামে টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপার বরাবর নারী নির্যাতনের অভিযোগ দেন। এ নিয়ে জেলা ডিবি পুলিশ তদন্ত করেন। নিয়ে ডিবি পুলিশ কার্যালয়ে একাধিকবার সালিস বৈঠকও হয়।

শনিবার ডিবি অফিসে অভিযোগের তদন্তকারী ডিবি কর্মকর্তা মোক্তার হোসেন সালিসে বসেন। সালিসে উভয়পক্ষের মতামতের ভিত্তিতে তিন লাখ টাকার বিনিময়ে টুম্পা ডির্ভোস মেনে নেয়। পরে নোটারি পাবলিকের মাধ্যমে ডিভোর্স হয়।

যুবলীগ নেতা অমিত রাজ কোর্টের মাধ্যমে তিন লাখ টাকা টুম্পাকে দিয়ে তার শিশু সন্তান তারিয়ান চাঁদকে তার বাড়িতে নিয়ে আসেন।

এদিকে, স্ত্রীর ডিভোর্সের পর যুবলীগ নেতা অমিত রাজ আইনিসহ পারিবারিক ঝামেলা মুক্ত হওয়ায় তার দাদী দুধ দিয়ে গোসল করিয়ে বিকেলে তাকে ঘরে তুলে নেন। যুবলীগ নেতা অমিত রাজকে দুধ দিয়ে গোসলের এই ঘটনার ছবি ও ভিডিও নিজের ফেসবুক পেজে আপলোড করলে ব্যাপক চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়।

Share Now
January 2025
M T W T F S S
 12345
6789101112
13141516171819
20212223242526
2728293031