১৮ বছর বা তার বেশি বয়সী শিক্ষার্থীদের টিকার নিবন্ধন শুরু হয়েছে কোভিড-১৯ সংক্রমণ থেকে সুরক্ষায় । শিক্ষার্থীদের করোনার টিকা নিবন্ধনের জন্য সুরক্ষা অ্যাপেও নতুন ক্যাটাগরি যুক্ত করা হয়েছে। ফলে এখন থেকে ১৮ বছর বয়সীরা করোনার টিকা নিতে পারবেন।
আজ শুক্রবার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এবিএম খুরশীদ আলম। তিনি জানান, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো দ্রুত খুলে দেওয়ার বিষয়ে সরকারি নির্দেশনা রয়েছে। তাই শিক্ষার্থীদের টিকার আওতায় আনার লক্ষ্যেই সুরক্ষায় তাদের নিবন্ধনের সুযোগ দেওয়া হয়েছে।
চলতি বছরের ৭ ফেব্রুয়ারি দেশে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার কোভিশিল্ড দিয়ে প্রথম টিকাদান কার্যক্রম শুরু হয়। তখন টিকার নিবন্ধনের বয়সসীমা কমপক্ষে ৪০ বছর নির্ধারণ করেছিল সরকার। এর আগে ৫৫ বছর বা তার বেশি বয়সীদের টিকার জন্য নিবন্ধন করার অনুমোদন দেওয়া হয়েছিল।
এরই মধ্যে টিকা প্রাপ্তি নিয়ে নানা জটিলতা দেখা দিলে ২৬ এপ্রিল থেকে সাময়িকভাবে টিকাদান কার্যক্রম বন্ধ থাকে। পরে টিকা প্রাপ্তিসাপেক্ষে আবার ৫ মে থেকে টিকার নিবন্ধন শুরু হয়। এ সময় টিকার নিবন্ধনের বয়স প্রথমে ৩৫ বছর, পরে ৩০ বছরের বেশি বয়সীদের জন্য টিকা উন্মুক্ত করা হয়। এরপর গত ২৯ জুলাই নতুন করে টিকা নেওয়ার বয়সসীমা ২৫ বছর নির্ধারণ করে সরকার। সর্বশেষ গতকাল বৃহস্পতিবার রাত থেকে টিকার নিবন্ধনের সর্বনিম্ন বয়সসীমা নামিয়ে ১৮ করা হলো।
গত ২৩ জুলাই করোনা প্রতিরোধে টিকার সর্বনিম্ন বয়সসীমা ১৮ বছর করার সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছিলেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আবুল বাশার খুরশীদ আলম।
এর আগে ১৪ জুলাই করোনার টিকার আওতায় দ্রুত আরও বেশি মানুষকে আনার উদ্দেশ্যে টিকাগ্রহীতার বয়সসীমা ১৮তে নামিয়ে আনার তাগিদ দিয়েছিল সরকারের কোভিড বিষয়ক জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটি।
এদিকে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এক বিজ্ঞপ্তিতে জানা যায়, দেশে এ পর্যন্ত ২ কোটি ২৪ লাখ ১৩ হাজার ৭৯ ডোজ করোনা টিকার প্রয়োগ হয়েছে। এর মধ্যে প্রথম ডোজ নিয়েছেন ১ কোটি ৬১ লাখ ৫৮ হাজার ৬৭৭ এবং দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন ৬২ লাখ ৫৪ হাজার ৪০২ জন মানুষ।
এ পর্যন্ত প্রথম ডোজ টিকাগ্রহীতাদের মধ্যে পুরুষ ৯৪ লাখ ৩৩২ আর নারী ৬৭ লাখ ৫৮ হাজার ৩৪৫ জন। দ্বিতীয় ডোজ টিকাগ্রহীতাদের মধ্যে পুরুষ ৩৮ লাখ ৮৩ হাজার ৮১০ আর নারী ২৩ লাখ ৭০ হাজার ৫৯২ জন।