সময়-সুযোগ আর ব্যাটে-বলে হলে হয়ত দর্শক ফারিয়াকে উপস্থাপনায় দেখতে পাবে।নুসরাত ফারিয়া। যৌথ প্রযোজনার ছবি ‘আশিকি’র মাধ্যমে গত বছরই চলচ্চিত্রে অভিষেক ঘটে। দ্বিতীয় ছবি ‘হিরো ৪২০’ মুক্তি পেয়েছে এ বছর ফেব্রুয়ারির শেষে। আর এই ঈদে মুক্তি পেয়েছে নুসরাত ফারিয়ার তৃতীয় ছবি ‘বাদশা’। এ ছবিতে অভিনয় করেছেন কলকাতার জনপ্রিয় নায়ক জিতের বিপরীতে। সম্প্রতি ব্যস্ত ছিলেন জাকির হোসেন রাজু পরিচালিত ছবি ‘প্রেমী ও প্রেমী’ শুটিংয়ে। বর্তমান ব্যস্ততা ও অভিজ্ঞতা নিয়ে নুসরাত ফারিয়ার সঙ্গে কথা বলেছেন সৈয়দ ঋয়াদ।
প্রেমী ও প্রেমী ছবি নিয়ে খুব ব্যস্ত ছিলেন, ফোন করেও সেভাবে পাওয়া যেত না, ফেসবুকে লিখেছেন, ‘নেক্সট টেন ডেজ উইল বি ইন আ ডিফারেন্ট হোম মিশন’, সিনেমার কাজ কি শেষ?
প্রায় ৯০ ভাগ কাজ শেষ হয়েছে। ১২ থেকে ১৬ আগস্ট পর্যন্ত ব্যাংককে আমাদের তিনটি গানের শুট হবে। গানের এই অংশের শুটিং শেষ হলে পুরো ছবির শুটিং শেষ। গেল ঈদের পর থেকে টানা শুটিং করেছি।
প্রেমী ও প্রেমী ছবি সম্পর্কে বলুন?
প্রেমী ও প্রেমী পূর্ণাঙ্গ প্রেমের ছবি। রোমান্টিকতায় ভরপুর কাহিনি নিয়ে গড়ে উঠেছে এই সিনেমার গল্প। আমি মনে করি এটি হবে আমার ক্যারিয়ারের অসাধারণ একটি ছবি। এই প্রথমবার আরিফিন শুভর বিপরীতে অভিনয় করছি। সিনেমায় আমার চরিত্রের নাম মারিয়া। এখানে যথারীতি মডার্ন একটি মেয়ের চরিত্রে দর্শকরা আমাকে দেখতে পাবেন।
বাদশা দ্য ডন সিনেমায় কলকাতার জনপ্রিয় নায়ক জিতের সঙ্গে অভিনয় করেছেন, বেশ সাড়াও পেলেন, সে সম্পর্কে বলুন।
তখন ভীষণ উচ্ছ্বসিত ছিলাম। ছবিটি মুক্তি পাওয়ার আগ পর্যন্ত ভীষণ টেনশনে ছিলাম। মুক্তি পাওয়ার পর সে টেনশন কেটে গেছে। দুই দেশের দর্শক জিতের সঙ্গে আমাকে ভালোভাবেই গ্রহণ করেছেন। যেখানেই গেছি, সেখানেই সবাই খুব প্রশংসা করেছে। আমি তো বলব, ‘বাদশা’ আমার ক্যারিয়ারের টার্নিং পয়েন্ট।
ভিন্ন রকম একটি পরিবেশে কাজ করেছেন, তারপর জিতের মতো বিগ স্টারের সঙ্গে, সমস্যা হয়েছে কি?
পরিচালক বাবা জাদব কিংবা ইউনিটের অনেক কিছুই সহজে বুঝতাম না। এ জন্য খারাপ লাগত। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে একবার বললেই জিৎ যেটা বুঝত আমি সেটা বুঝতাম না। এসব বিষয়ে পরিচালক এবং জিৎ যথেষ্ট সহযোগিতা করেছে।
কলকাতার সঙ্গে আমাদের এখানের শুটিং পার্থক্যটা কোথায়?
পার্থক্য তো আছেই, ওদের মতো আমাদের এখানে প্রফেশনাল ইউনিট তৈরি হয়নি। এটাও হয়ে যাবে। এর জন্য সময় লাগবে।
বাংলা সিনেমার অবস্থান সম্পর্কে আপনার ভাবনা?
আমাদের সিনেমার খুব ভালো সময় যাচ্ছে আমি সেটি বলব না, তবে সাম্প্রতিক ছবিগুলোতে আপনারা পরিবর্তন দেখছেন। এ সবই বাংলা সিনেমার জন্য ভালো খবর। এই ঈদে মুক্তিপ্রাপ্ত প্রতিটি ছবি ভালো ব্যবসা করেছে। আমার মনে হচ্ছে মানুষ আবারও হলমুখী হতে শুরু করেছে। যারা বাংলা সিনেমার মুখস্থ বদনাম করেন তাদের জন্য এই ছবিগুলো এক ধরনের প্রতিবাদ।
‘গাওয়া দ্য উইটনেস’ ছবির মাধ্যমে আপনার বলিউডযাত্রা নিয়ে ব্যাপক মাতামাতি হচ্ছিল, এটা নিয়ে আমরাও খুব আশাবাদী হয়েছি, এ প্রসঙ্গে বলুন।
এটা নিয়ে আমার সঙ্গে এখন আর যোগাযোগ হচ্ছে না। আমি ছবিটির ব্যাপারে কিছুই জানি না। ছবির ব্যাপারে বাংলাদেশ আর কলকাতার এজেন্সি ভালো বলতে পারবেন। এজেন্সি থেকে আমাকে জানানো হয়েছিল একটু দেরি হলেও ছবিটির কাজ অবশ্যই হবে। কবে নাগাদ শুটিং হবে এ সম্পর্কেও আমাকে আর জানায়নি।
উপস্থাপনা দিয়ে বেশ জনপ্রিয়তা পেয়েছেন, ফের উপস্থাপনায় ফেরার কোনো ইচ্ছে আছে?
ইচ্ছে থাকলেও সেভাবে হয়ত দর্শক আমাকে আর পাবে না। তবে সেই সময়গুলো বেশ মিস করি। উপস্থাপনা আমার ভালো লাগা।