সাম্প্রতিকালে ডিম খাওয়া নিয়ে বেশ বিতর্ক রয়েছে। কেউ বলছেন ডিম স্বাস্থ্যের জন্য ভালো, আবার কেউ বলছেন ডিম স্থূলতা, হৃদরোগসহ বিভিন্ন রোগের সৃষ্টি করে। অথচ এই খাবারটিকে এক সময় ‘সুপার ফুড’ হিসেবে বিবেচনা করা হতো। ভাবা হতো, শক্তির বিশাল উৎস হিসেবে। কিন্তু হঠাৎ করেই ডিম সম্পর্কে ভুল প্রচার এবং ভ্রান্ত ধারণার কারণে এর ঐতিহ্য হারিয়েছে।
ভারতের প্রখ্যাত পুষ্টিবিদ ডা. গীতা ধারমাট্টি ডিম সম্পর্কে প্রচলিত কিছু ভ্রান্ত ধারণা পরিষ্কার করার চেষ্টা করেছেন।
প্রতিদিন ডিম খাওয়ার কারণে বয়স্কদের কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়ে?
একটি ডিমের হলুদ অংশে ২২১ মিলিগ্রাম কোলেস্টেরল থাকে। আর আমাদের শরীরের জন্য দরকার ৩০০ মিলিগ্রাম কোলেস্টেরল। গবেষকরা প্রতি সপ্তাহে তিনটি আস্ত ডিম খাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। একটি আস্ত ডিমে অত্যাবশ্যাক পুষ্টি ও ক্ষুদ্র পুষ্টি উপাদান রয়েছে। যা আমাদের কোষের পুনরুৎপাদন এবং বার্ধক্যে প্রতিরোধে প্রভাব ফেলে। ডিম শরীরের মেদ ও কোলেস্টেরলের মাত্রা বৃদ্ধি করে বলে মারাত্মক ভ্রান্ত ধারণা প্রচলিত আছে।
গড়ে একজন প্রাপ্ত বয়স্ক ব্যক্তির কতটি ডিম খাওয়া উচিত?
একটি মাঝারি আকারের ডিমে ৬.৬ গ্রাম প্রোটিন থাকে। একজন প্রাপ্ত বয়স্ক ব্যক্তির শরীরের প্রতি কেজি ওজন অনুযায়ী ০.৮ থেকে ১.০ গ্রাম প্রোটিন দরকার। ডাল, শিম জাতীয় খাবার, দুধ বা দুগ্ধজাত পণ্যে প্রতিদিন ৩৫ থেকে ৪০ গ্রাম প্রোটিন পাওয়া যায়। আর একটি মাত্র ডিমে পর্যাপ্ত পরিমাণে পুষ্টি পাওয়া যায়।
ডিমের স্বাস্থ্যকরী উপাদান কি কি?
ডিম উচ্চ মানের প্রোটিনযুক্ত খাবারের সেরা উৎস। তাছাড়া, সম্পূর্ণ প্রোটিনের জন্য এটি চমৎকার উৎস(প্রয়োজনীয় অ্যামাইনো অ্যাসিডসহ)। ডিমের হলুদ অংশে গুরুত্বপূর্ণ দ্রবণীয় চর্বিযুক্ত ভিটামিন-এ, ই, ডি, কে রয়েছে। ডিম বিপাক প্রক্রিয়া বৃদ্ধি করে এবং পরিমিত মাত্রায় ডিম খেলে শরীরের ওজনও কমায়। ডিমে ভিটামিন-বি কমপ্লেক্স, সেলেনিউম, দস্তা, ক্লোরিন এবং ভিটামিন-ডি পর্যাপ্ত পরিমাণে রয়েছে।
ডিম খাওয়ার সবচেয়ে ভালো সময় কখন?
ডিম যেকোনো সময়ে খাওয়া যায়। একটি আস্ত ডিম বা তিনটি ডিমের সাদা অংশ সকালের নাশতায় বা রাতে খাবারের সঙ্গে খেতে পারেন। এতে ক্যালোরি এবং ডায়েটের সর্বোচ্চ পুষ্টি মান পূর্ণ করে