ঝিনাইদহ-মাগুরা আসনের সংরক্ষিত মহিলা আসনের সংসদ সদস্য আওয়ামী লীগ নেত্রী খালেদা খানমের মেয়ে সোহেলী আহম্মদ ও জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি সাজেদুর রহমান পপ্পু প্রেমের টানে ঘর ছেড়েছেন ।
স্থানীয়রা জানায়, সোহেলী আহম্মেদ শহরের ৩ নম্বর পানির ট্যাংকীপাড়ায় মায়ের বাসায় থাকতেন। প্রতিবেশী ঝিনাইদহ জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি সাজেদুর রহমান পপ্পুর সঙ্গে সোহেলীর পরকীয়ার সম্পর্ক গড়ে ওঠে। গত ১১ আগস্ট সন্ধ্যায় তারা বাড়ি ছাড়েন।
এ ঘটনার পর সোহেলীর স্বামী বিল্লাল হোসেন লিটন বাদী হয়ে পপ্পু ও একই এলাকার তৌফিক হোসেনের নাম উল্লেখ করে ঝিনাইদহ সদর থানায় একটি অপহরণ মামলা দায়ের করেন।
মামলায় উল্লেখ করা হয়, বেশ কয়েকদিন ধরে সোহেলীকে আসামিরা উত্ত্যক্ত করাসহ বিভিন্নভাবে প্রলোভন দেখিয়ে আসছিল। গত ১১ আগস্ট সন্ধ্যায় সোহেলীকে পপ্পু ও তৌফিক অপহরণ করে নিয়ে যায়। এ বিষয়ে বিল্লাল হোসেন বলেন, ‘প্রায় এক সপ্তাহ পার হয়ে গেলেও আমার স্ত্রীকে পুলিশ উদ্ধার করতে পারেনি।’
সংরক্ষিত মহিলা আসনের এমপি খালেদা খানম বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, তার রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ তার অবস্থান ও সম্মান ক্ষুণ্ন করার জন্য মেয়েকে অপহরণ করেছে।
মেয়ের জীবন নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করে তিনি জানান, অপহরণের পর তার মেয়ে বেঁচে আছে কি না তা নিয়ে শঙ্কিত। মেয়েকে অক্ষতভাবে উদ্ধারের দাবি জানান তিনি।
এ বিষয়ে ঝিনাইদহ সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) এমদাদুল হক বলেন, তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে তাদের অবস্থান নিশ্চিত শনাক্ত করার চেষ্টা চলছে। তবে এটি অপহরণ নাকি প্রেমের সম্পর্কের জের ধরে স্বেচ্ছায় বাড়ি ছেড়েছেন, তা সোহেলীকে উদ্ধারের পর নিশ্চিত হওয়া যাবে। মামলাটি ঝিনাইদহ সদর থানার এসআই আজিজুল ইসলাম তদন্ত করছেন।