জাপানে করোনাভাইরাসের নতুন ধরন ‘ল্যামডা’ এবার আঘাত হেনেছে । পেরু থেকে ছড়িয়ে পড়া এই নতুন ধরনটি গত শুক্রবার জাপানে প্রথম শনাক্ত হয়। দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে জাপানের সংবাদমাধ্যম জাপান টাইমস।
প্রতিবেদনে বলা হয়, জাপানের একজন নারী ল্যামডা ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্ত হয়েছেন। ৩০ বছর বয়সী ওই নারী গত ২০ জুলাই পেরু থেকে জাপানের হানেদা এয়ারপোর্টে এসেছেন। করোনার কোনো লক্ষণ ছাড়াই এয়ারপোর্টে কোয়ারেন্টিনে থাকা অবস্থায় তার করোনা শনাক্ত হয়। দেশটির ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ইনফেকসিয়াস ডিজিসিস পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে নিশ্চিত করেছে, তিনি করোনার নতুন ধরন ‘ল্যামডা’য় আক্রান্ত।
সংস্থাটি জানিয়েছে, করোনার নতুন ধরন ল্যামডা ২০২০ সালের আগস্টে পেরুতে প্রথম শনাক্ত হয়। এরপর তা দক্ষিণ আমেরিকায় ছড়িয়ে পড়ে। অন্য ভ্যারিয়েন্টের চেয়ে এটি বেশ সংক্রামক ও শক্তিশালী। এমনকি ভ্যাকসিনেও এটি টিকে থাকতে পারে।
করোনার ডেল্টার ধরনে যখন পুরো বিশ্ব নাকাল, তখনই নতুন করে ল্যামডা হয়ে দাঁড়িয়েছে উদ্বেগের নাম। জাপানের গবেষকরা এই ভ্যারিয়েন্টকে ‘উদ্বেগজনক’ হিসেবে অ্যাখ্যা দিয়েছেন। তারা বলেছেন, ‘এই ভ্যারিয়েন্ট আমাদের জন্য হুমকি হতে যাচ্ছে। আগামীতে এর ভয়াবহতা ছড়িয়ে পড়তে পারে। আমাদের এটা বোঝা উচিত।’
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা যখন এ ভ্যারিয়েন্টকে ‘উদ্বেগ’ হিসেবে দেখেছে, তখন বিশেষজ্ঞরা এ নতুন ধরনটিকে ততটা গুরুত্ব দেননি। কিন্তু গত কয়েক মাসে ল্যামডা ছড়াতে শুরু করেছে।
জাপানের বিজ্ঞানীরা বলছেন, ল্যামডাকে ‘উদ্বেগ’ হিসেবে দেখার কোনো অবকাশ নেই। তারা জানিয়েছেন, লাতিন অ্যামেরিকায় পাওয়া এ নতুন সংস্করণ দক্ষিণ আমেরিকাতে তো বটেই, উত্তর আমেরিকাতেও ছড়িয়ে পড়েছে।
গ্লোবার সায়েন্স ইনিশিয়েটিভ সংস্থা জিআইএসএইডের মতে, ল্যামডা দক্ষিণ আমেরিকারের আটটি দেশে ও বিশ্বজুড়ে ৪১টি সংক্রমণ ছড়িয়েছে। ফলে নতুন এ ধরনটিকে গুরত্বের সঙ্গে না নিলে এটি বড় ধরনের ভয়াবহতা নিয়ে আসবে বলে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন বিশেষজ্ঞরা।