মহানগর গোয়েন্দা বিভাগের (ডিবি) গুলশান বিভাগের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (এডিসি) গোলাম সাকলায়েন শিথিলকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে পরীমণিকাণ্ডে নাম আসার পর । ইতোমধ্যে তাকে সংস্থাটির সবধরনের কার্যক্রম থেকে নিবৃত্ত করে ডিএমপির পাবলিক অর্ডার ম্যানেজমেন্ট-পিওএম (পশ্চিম) বিভাগে বদলি করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ডিএমপির অতিরিক্ত উপ কমিশনার (মিডিয়া) ইফতেখায়রুল ইসলাম। আজ শনিবার দুপুরের দিকে বাংলা ট্রিবিউনকে এ তথ্য জানান।
গত ১৩ জুন ঢাকা বোট ক্লাবে গিয়ে ধর্ষণচেষ্টার শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ করেন চলচ্চিত্র নায়িকা পরীমণি। এর পরদিনই উত্তরার একটি বাসা থেকে গ্রেফতার করা হয় ব্যবসায়ী নাসির উদ্দিন মাহমুদকে। পরে এই ঘটনায় গোয়েন্দা পুলিশের গুলশান বিভাগ পরীমণিকে গোয়েন্দা কার্যালয়ে ডেকে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। তখন থেকে গোলাম সাকলায়েন শিথিলের সঙ্গে পরিচয় হয় পরীমণির। এরপর থেকেই শুরু হয় যোগাযোগ।
জিজ্ঞাসাবাদে পরীমণি জানিয়েছেন, নিয়মিত কথা বলতে বলতে গোলাম সাকলায়েন শিথিলের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক তৈরি হয় তার। এরপর তারা নিয়মিত গাড়ি নিয়ে ঘুরতে যেতেন। এমনকি সাকলায়েন তার বাসায় নিয়মিত যাতায়াত করতেন। সর্বশেষ গত ১ আগস্ট তার সরকারি বাসভবন রাজারবাগের মধুমতির ফ্ল্যাটে যান পরীমণি।
এদিকে নায়িকা পরীমণি ও আওয়ামী লীগের উপকমিটি থেকে অব্যাহতি পাওয়া ব্যবসায়ী হেলেনা জাহাঙ্গীর, কথিত প্রযোজক রাজ, মডেল পিয়াসা ও মৌয়ের সাতটি মামলা সিআইডিতে স্থানান্তর করা হয়েছে। আজ দুপুরেই সংস্থাটির অতিরিক্ত ডিআইজি ওমর ফারুক সাংবাদিকদের বলেন, এসব মামলা তদন্ত করতে গিয়ে কোনও ক্ষমতাধর ব্যক্তির নাম আসলেও তাদের কোনও ছাড় দেওয়া হবে না।
মামলার তদন্তে কোন তদন্তকারীর কর্মকর্তার সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেলে কী ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হবে এ বিষয়ে সিআইডির এই কর্মকর্তা বলেন, কেউই আইনের ঊর্ধ্বে নয়। সে তদন্তকারী কর্মকর্তা হোক বা যে কেউ হোক। আমরা চাই নিরপেক্ষভাবে তদন্ত করে, সত্য ঘটনা উদ্ঘাটন করতে।
এসব ঘটনার পেছনে যারা জড়িত আমরা তদন্তের মাধ্যমে তাদের খুঁজে বের করবো, তারা যত ক্ষমতাধরই হোক না কেন, বলেন সিআইডির অতিরিক্ত ডিআইজি ওমর ফারুক।