চট্টগ্রাম : পাঁচজনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত আজ রবিবার চট্টগ্রামের চতুর্থ অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ নূরুল ইসলাম চাঞ্চল্যকর এই মামলার রায় দিলেন।এর আগে গত ২৮ জুলাই এবং ১১ আগস্ট দুবার এই মামলার রায় ঘোষণার তারিখ নির্ধারণ করা হলেও তা পেছানো হয়।কুকুর লেলিয়ে দিয়ে মেধাবী ছাত্র(‘এ’ লেভেলের ছাত্র) হিমাদ্রী মজুমদার হিমু হত্যা মামলার রায়ে ।
মৃত্যুদণ্ড পাওয়া আসামিরা হল-ব্যবসায়ী শাহ সেলিম টিপু, তার ছেলে জুনায়েদ আহমেদ রিয়াদ এবং রিয়াদের তিন বন্ধু শাহাদাৎ হোসাইন সাজু, মাহাবুব আলী খান ড্যানি এবং জাহিদুল ইসলাম শাওন।
এদের মধ্যে শাহ সেলিম টিপু, শাহাদাৎ হোসাইন রাজু ও মাহাবুব আলী ড্যানি বর্তমানে কারাগারে আছেন। অপর দুই আসামি রিয়াদ শুরু থেকে এবং শাওন জামিনে গিয়ে পলাতক আছে।
রাষ্ট্রপক্ষের কৌসুলি ও অতিরিক্ত মহানগর পিপি অ্যাডভোকেট অনুপম চক্রবর্তী ঢাকাটাইমসকে রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
২০১২ সালের ২৭ এপ্রিল নগরের পাঁচলাইশ এলাকার সামারফিল্ড স্কুল অ্যান্ড কলেজের সামনে থেকে হিমুকে ধরে নিয় যায় আসামি শাওন, রিয়াদ, সাজু ও ড্যানি। তারা হিমুকে ঐ এলাকার একটি ভবনের পাঁচতলার ছাদে নিয়ে তার ওপর জার্মানির হিংস্র কুকুর লেলিয়ে দেওয়া হয়।সামারফিল্ড স্কুলের ‘এ’ লেভেলের শিক্ষার্থী এই তরুণকে পরে ছাদ থেকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেওয়া হয়। এরপর হাসপাতালে ২৬ দিন চিকিৎসার পর ২৩ মে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ঢাকার একটি হাসপাতালে মারা যান হিমাদ্রী।
ঘটনার পরদিন ২৮ এপ্রিল হিমাদ্রীর বাবা নগরের পাঁচলাইশ থানায় একটি জিডি করেন। হিমাদ্রী মারা যাওয়ার পর তাঁর মামা অসিত দে বাদী হয়ে একই থানায় এই পাঁচজনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।২০১৪ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি আদালত পাঁচ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন।
রায়ে হিমাদ্রীর বাবা প্রবীর মজুমদার সন্তোষ প্রকাশ করেছেন।তবে রায় শুনে আদালত প্রাঙ্গণে মৃত্যুদণ্ডাদেশ পাওয়া শাহ সেলিম নিজেকে নির্দোষ দাবি করে বলেন, তিনি রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করবেন।