আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস ওয়াচ গত মে মাসে ইসরাইল-হামাস ১১ দিনের সংঘাতে উভয় পক্ষই যুদ্ধাপরাধ সংগঠিত করেছে বলে জানিয়েছে । এ নিয়ে এতদিন তদন্ত করেছে সংস্থাটি। তদন্ত প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, ইসরাইলি হামলায় ৬২ জন বেসামরিক ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছিল।
অনেক সময় হামলা চালানোর আগে ইসরাইল সেখানে হামাসের উপস্থিতি সম্পর্কেও নিশ্চিত ছিল না। একইসঙ্গে ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোকেও যুদ্ধাপরাধের দায়ে অভিযুক্ত করেছে হিউম্যান রাইটস ওয়াচ। গাজা থেকে ৪ হাজারেরও বেশি অনিয়ন্ত্রিত রকেট ছেরেছিল ফিলিস্তিনি গোষ্ঠীগুলো। একইসঙ্গে ইসরাইলি শহরগুলো টার্গেট করে মর্টার হামলাও চালানো হয়েছে। এরফলে ইসরাইলেরও অনেক বেসামরিক মানুষ হতাহত হয়েছে।
কাতারভিত্তিক গণমাধ্যম আল-জাজিরা জানিয়েছে, এই প্রতিবেদন মূলত ওই সংঘাতে ইসরাইলের ভূমিকা নিয়ে তৈরি করা হয়েছে। আগস্ট মাসে তারা হামাসসহ অন্য ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠীর যুদ্ধাপরাধ নিয়ে আলাদা প্রতিবেদন প্রকাশ করবে। সংগঠনটির শীর্ষ কর্মকর্তা গেরি সিম্পসন বলেন, ইসরাইল এক স্থানে বিমান হামলা চালিয়ে পুরো একটি পরিবারকে ধ্বংস করে দিয়েছে অথচ সেখানে কোনো হামাসের সামরিক উপস্থিতি ছিলনা। এসব ঘটনা নিয়ে ইসরাইল ভালোভাবে তদন্ত করেনা বলেও অভিযোগ তোলেন তিনি। এছাড়া আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত বা আইসিসি’র অধীনে উভয় পক্ষের ভূমিকার তদন্তের প্রতিও জোর দেন তিনি।
এই প্রতিবেদন প্রকাশের পর তাৎক্ষনিকভাবে কোনো প্রতিক্রিয়া জানায়নি ইসরাইল। যদিও এর আগে দেশটি একাধিক বার দাবি করেছে, তারা শুধু সন্ত্রাসীদের টার্গেট করেই হামলা চালিয়েছে। একইসঙ্গে হামাস বেসামরিক নাগরিকদের ঢাল হিসেবে ব্যবহার করে এমন অভিযোগও করেছে দেশটি।