চট্টগ্রাম : শুক্রবার বিকেল ৪টার দিকে নগরীর প্রেস ক্লাবের সামনে ‘বাংলাদেশ মুক্ত গার্মেন্টস শ্রমিক ইউনিয়ন ফেডারেশন’(বিগফ) এর আয়োজনে এক সমাবেশে নগরীর কালুরঘাট, নাছিরাবাদ, বায়েজিদ, সাগরিকায় অবস্থিত গার্মেন্টসসহ বিভিন্ন গার্মেন্টস-শিল্প কারখানার হাজারো শ্রমিক কর্মচারী অংশ নেন।গার্মেন্টস শ্রমিক-কর্মচারীরাসম্প্রতি দেশের বিভিন্ন স্থানে সন্ত্রাসী ও জঙ্গি হামলার প্রতিবাদে মিছিল-সমাবেশ করেছেন ।
চন্দন কুমার দে’র সভাপতিত্বে “জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসবাদ রুখে দাড়াঁও” শিরোনামে আয়োজিত সমাবেশে অংশ নিয়ে বক্তারা বলেন, সন্ত্রাসবাদ-জঙ্গিবাদী কাজ করে এক শ্রেণীর মানুষ আমাদের জীবন-জীবিকা ধ্বংসের চেষ্টা করছে। আমরা জঙ্গিবাদ চাইনা, আমরা শান্তিতে কাজ করতে চাই। সম্প্রতি দেশে যে অস্তিরতা বিরাজ করছে তার কারণে আমরা ঠিক মত কাজ করতে পারছি না। আমরা কাজ করতে না পারলে আমাদের পরিবারের লোকজন না খেয়ে মরবে। আমাদের সন্তানদের ভবিষ্যৎ নষ্ট হয়ে যাবে।
তারা আরো বলেন, জঙ্গি-মৌলবাদীরা কী আকাশে থাকে না পাতালে? কেন তাদের মূল হোতাদের পুলিশ প্রশাসন চিহ্নিত করতে পারছে না। জঙ্গিবাদের কারণে বিদেশের বায়ার(ক্রেতা) আমাদের দেশে আসছেনা।তাদের উপর হামলা করা হচ্ছে, হত্যা করা হচ্ছে।এগুলোর কারণে আমাদের দেশের পোশাক শিল্প এখন ধ্বংসের মুখে। আমরা শ্রম দিয়েছি আরো দেব, সব শ্রমিক-মজুর এক হয়ে দেশ থেকে জঙ্গি র্নিমূল করে ছাড়ব।
সমাবেশে মুক্তিযোদ্ধা তপন দত্ত বলেন, আমরা শ্রমিকরা আগে রাস্তায় নেমেছি বেতন-ভাতা, ন্যায্য মজুরি ও ছুটি আদায়ে।এখন নেমেছি আরেকটি অধিকার আদায়ে সেটা হল শান্তিপূর্ণভাবে কাজ করার অধিকার, জঙ্গি র্নিমূলের অঙ্গিকার। গার্মেন্টস শিল্প যদি বন্ধ হয়ে যায় তাহলে দেশের ৩০ লাখ শ্রমিক বেকার হয়ে যাবে। আমরা মুক্তিযুদ্ধ করেছি, আমরা জানি কীভাবে দল গঠন করে দেশের শ্রমিক মজুর এক হয়ে অপশক্তিকে পরাজিত করতে হয়। ঠিক সেভাবে আমরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে জঙ্গিবাদ মোকাবিলা করব।
সমাবেশে রহমান,কামরুল ইসলাম, চন্দন কুমারসহ শ্রমিক-কর্মচারী ঐক্য পরিষদ ও বিভিন্ন সংগঠনের নেতা-সদস্যরা বক্তব্য রাখেন।