জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ঈদের বন্ধে পরীক্ষা কম হলেও করোনা সংক্রমণের হার কমেনি । আজ রোববার দুপুরে কোভিড-১৯ পরিস্থিতি নিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর আয়োজিত ভার্চুয়াল স্বাস্থ্য বুলেটিনে অধিদপ্তরের মুখপাত্র অধ্যাপক ডা. নাজমুল ইসলাম এ তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, জেলাভিত্তিক শনাক্তের হিসাবে ঢাকা শীর্ষে অবস্থান করছে। ঢাকায় ইতিমধ্যে শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ৪ লাখ ছাড়িয়ে গেছে। তারপর আছে যথাক্রমে চট্টগ্রাম, কুমিল্লা, সিলেট, বগুড়া, নারায়ণগঞ্জ, খুলনা, ফরিদপুর এবং সবচেয়ে কম সংখ্যক রোগী চিহ্নিত হয়েছে রাজশাহীতে— ১৮ হাজার ৪১৬ জন। বিভাগভিত্তিক মৃত্যুর হারেও এগিয়ে আছে ঢাকা। এরপরই রয়েছে খুলনা বিভাগ।
গত ৭ দিনের সংক্রমণ পরিস্থিতি দিকে তাকালে দেখা যাচ্ছে নমুনা সংগ্রহ কম হয়েছে, সে হিসাবে পরীক্ষা হয়েছে কম। ফলে মোট রোগীর সংখ্যা কমেছে। তবে শতকরা হিসেবে সংক্রমণের হার ৩০ শতাংশের নিচে নামেনি।
বরং ২৪ শে জুলাই ৩২ দশমিক ৫৫ শতাংশ রোগী শনাক্ত হয়েছে। ১৯শে জুলাই সবচেয়ে বেশি প্রাণহানি ঘটেছে ২৩১ জন। সবচেয়ে কম মারা গেছেন ২৩শে জুলাই ১৬৬ জন। ২৯তম এপিডেমিক সপ্তাহে ২৪শে জুলাই পর্যন্ত ২ লাখ ২ হাজার ১১৩টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। আগের সপ্তাহের তুলনায় পরীক্ষার হার ২৮ দশমিক ৯৪ শতাংশ কমেছে। ঈদের বন্ধের কারণে এই সংখ্যা কমতে পারে। তবে সুস্থতার হার ১৮ দশমিক ৪৫ শতাংশ বেড়েছে বলেন তিনি।
এক প্রশ্নের জবাবে ডা. নাজমুল বলেন, যুক্তরাষ্ট্র থেকে যে মোবাইল ভেন্টিলটরগুলো এসেছে সেগুলো আমাদের বিশেষজ্ঞরা পরীক্ষা করে দেখছেন। এগুলো যখন যেখানে প্রয়োজন সেখানে স্থাপন করা হবে।