অক্সিজেন এবং হাসপাতালে করোনা ডেডিকেটেড শয্যার তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে বগুড়ায় । গত ২৪ ঘণ্টায় ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে। অক্সিজেন সংকটে মারা গেছেন ৭ জন।

করোনা বিশেষায়িত সরকারি মোহাম্মদ আলী হাসপাতালে মারা যান পাঁচ জন। একই সময়ে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে করোনায় মারা গেছেন আরও ছয় জন রোগী। এখনও ১০ জন মুমূর্ষু রোগী ভর্তি রয়েছেন মোহাম্মদ আলী হাসপাতালে।

জানা যায়, মোহাম্মাদ আলী হাসপাতালে শ্বাসকষ্ট থাকা রোগীদের অক্সিজেন সরবরাহের জন্য গোটা হাসপাতালে হাই ফ্লো ন্যাজাল ক্যানোলা আছে মাত্র দুটি। অক্সিজেন সরবরাহের পর্যাপ্ত ব্যবস্থা না থাকায় মুমূর্ষু করোনা রোগীদের বাঁচানো যাচ্ছে না বলে জানিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

এই হাসপাতালের ধারণ ক্ষমতা ২০০ রোগীর হলেও শুক্রবার সকাল পর্যন্ত সেখানে রোগী ভর্তি আছেন ২২৩ জন। এর মধ্যে ১০ জন রোগীর অক্সিজেনের মাত্রা একেবারেই নিচের দিকে। যাদের হাই ফ্লো ন্যাজাল ক্যানোলার মাধ্যমে অক্সিজেন সরবরাহ করতে হচ্ছে।
হাই ফ্লো ন্যাজাল ক্যানোলা সংকটের একই চিত্র জেলার অন্যান্য হাসপাতালেও।

বগুড়া মোহাম্মদ আলী হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. শফিক আমিন কাজল সাংবাদিকদের জানান, তাদের হাসপাতালে রোগীর যে পরিমাণ চাপ সেখানে অন্তত ২০টি হাই ফ্লো ন্যাজাল ক্যানোলা প্রয়োজন, কিন্তু আছে মাত্র ২টি। একারণে চাহিদা অনুযায়ী রোগীদের অক্সিজেন সরবরাহ করা সম্ভব হচ্ছে না। ফলে অধিক শ্বাসকষ্টে থাকা রোগীদের বাঁচানো কঠিন হয়ে পড়েছে।

বগুড়ায় গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ৩৮০ টি। শনাক্ত ১০০ জন, মারা গেছেন ১১জন। শনাক্তের হার ২৬.৩১ শতাংশ। জেলায় মোট করোনায় আক্রান্ত ১৪ হাজার ৭৩ জন। এপর্যন্ত মারা গেছেন ৪০৮ জন।

Share Now
December 2024
M T W T F S S
 1
2345678
9101112131415
16171819202122
23242526272829
3031