আর্ন্তজাতিক : শাহরুখ খানকে মার্কিন অভিবাসন দফতরের কর্তারা তাকে লস অ্যাঞ্জেলস বিমানবন্দরে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটকান । পরে অবশ্য তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়। আবারও যুক্তরাষ্ট্রের বিমানবন্দরে নিরাপত্তা পরীক্ষা সংক্রান্ত কারণে আটকানো হল । ছেলে আরিয়ান ও মেয়ে সুহানার সঙ্গে ছুটি কাটাতে লস অ্যাঞ্জেলস পৌঁছান শাহরুখ।
বিমানবন্দরে নিরাপত্তা সংক্রান্ত কারণে তাঁক আটকানোয় টুইটারে শাহরুখের লেখেন – বর্তমান বিশ্ব যে পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে তার পরিপ্রেক্ষিতে আমি নিরাপত্তা সংক্রান্ত সতর্কতার বিষয়টি বুঝি, একে সম্মানও করি। তবে প্রতিবার ইউএস ইমিগ্রেশনে এভাবে আটক করার ঘটনা খুবই দুঃখ দেয়।
এরপরই শাহরুখ আবার একটি টুইট করেন। সেই টুইটে তিনি লেখেন – এই ঘটনার একটা ভাল দিকও রয়েছে। ইমিগ্রেশনের জন্য অপেক্ষা করার সময়ে বেশ কিছু ভাল পোকেমন খুঁজে পেয়েছি।
লস অ্যাঞ্জেলস বিমানবন্দরে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য যখন আটকে রেখেছিলেন অভিবাসন দফতরের অফিসাররা, তখন পোকেমন খেলে সময় কাটিয়েছেন শাহরুখ। তবে বিষয়টিকে বিশেষ গুরুত্ব দিতে রাজি নন শাহরুখ। তিনি এটি সামান্য একটি ঘটনা এবং এই বিষয়ে তিনি আর কিছুই বলতে চান না জানিয়ে বিতর্কে ইতি টানেন।
তবে ইউএস ডিপার্টমেন্ট অফ স্টেট-এর তরফে অ্যাসিস্টান্ট সেক্রেটারি অফ স্টেট ফর সাউথ অ্যান্ড সেন্ট্রাল এশিয়া, নেহা বিশওয়াল টুইটারে জানান, লস অ্যাঞ্জেলিস বিমানবন্দরে শাহরুখ খানকে অসুবিধায় পড়তে হয়েছে বলে তারা অত্যন্ত দুঃখিত। তবে মার্কিন কূটনীতিকদেরও এখন অতিরিক্ত নিরাপত্তা পরীক্ষার মধ্যে দিয়ে যেতে হচ্ছে।
লস অ্যাঞ্জেলসের ঘটনার চার বছর আগে নিউ ইয়র্কে, তারও আগে নিউ জার্সিতে নিরাপত্তা পরীক্ষা সংক্রান্ত কারণে বিমানবন্দরে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটকানো হয়েছে শাহরুখ খানকে। এনিয়ে তিন-তিনবার মার্কিন মুলুকে আটকানো হল তাকে। ২০০৯-এর অগাস্টে শাহরুখকে আটকানো হয় নিউ জার্সির নেওয়ার্ক বিমানবন্দরে। সেবার প্রায় ২ ঘণ্টা আটকে রাখা হয় কিং খানকে। এরপর ২০১২ এর এপ্রিল। ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে নিউ ইয়র্কে যান শাহরুখ। নিউ ইয়র্কের হোয়াইট প্লেন বিমানবন্দরে ইমিগ্রেশন চেকের নাম করে প্রায় তিনঘণ্টা আটকে রাখা হয় কিং খানকে। এই বিড়ম্বনার জেরে ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুষ্ঠানে পৌঁছতে পৌঁছতে প্রায় ২ ঘণ্টা দেরি হয়ে যায় তার। বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে ওইদিন ঐতিহ্যশালী ‘চাব ফেলোশিপ’ উপাধিতে ভূষিত করা হয় তাকে।