১২ বছর আগের পিছিয়ে পড়া বাংলাদেশ আজ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আলোর পথে অপ্রতিরোধ্য গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন। একযুগ আগের বাংলাদেশ ও আজকের বাংলাদেশের মধ্যে উন্নয়ন ও অর্জনে আকাশ-পাতাল পার্থক্য। বাংলাদেশের এই বিশাল উন্নয়ন-অর্জনই বিএনপির গাত্রদাহের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। দলটি নানা ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে দেশের এই অগ্রযাত্রা থামিয়ে দিতে চায়। শনিবার সকালে চট্টগ্রাম মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের ত্রিবার্ষিক ভার্চুয়াল সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন ওবায়দুল কাদের।

সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী বলেন, মহামারি করোনাকালেও বাংলাদেশ শ্রীলঙ্কাকে ২শ মিলিয়ন ডলার এবং সুদানকে সাত দশমিক ৭ মিলিয়ন ডলার ঋণ সহায়তা দিয়েছে। এতেই বোঝা যায় বাংলাদেশের অবস্থান আজ কোথায় এসে পৌঁছেছে। বাংলাদেশের মাথাপিছু আয় আজ দুই হাজার ২২৭ ডলার, যা কল্পনাও করা যায় না।
শেখ হাসিনা সরকারের অভূতপূর্ব উন্নয়নের সুফল জনগণ পেতে শুরু করছে।
দেশের মেগা প্রকল্পগুলোর কাজ শেষ পর্যায়ে। আগামী বছর পদ্মা সেতু-মেট্রোরেলসহ বেশ কয়েকটি মেগা প্রকল্প উদ্বোধন করা হবে বলে জানান সেতু মন্ত্রী।

ওবায়দুল কাদের বলেন, উন্নয়ন-সমৃদ্ধির অগ্রযাত্রায় বাধাগ্রস্ত করতে বিএনপি ও তার দোসররা আদাজল খেয়ে মাঠে নামছে। তারা সাম্প্রদায়িক অপশক্তিকে নিয়ে দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে। দেশের স্বাধীনতা উন্নয়নবিরোধী সাম্প্রদায়িক অপশক্তি আজ বিএনপির নেতৃত্বে সংগঠিত হচ্ছে। তাদের লক্ষ্য অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি করে দেশের ইমেজ নষ্ট করা। দেশকে অকার্যকর রাষ্ট্রে পরিণত করা। নিজেদের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ অন্ধকার বুঝতে পেরে তারা দেশের আলোকিত অভিযাত্রাকে থামিয়ে দিতে চায়। তারা দেশে-বিদেশে অর্থ বিনিয়োগ করছে দেশের স্থিতিশীলতা ও সম্ভাবনা নষ্ট করে দিতে। ১৫ই আগস্ট ও ২১শে আগস্ট যারা ঘটাতে পারে তাদের কাছে রাষ্ট্রের স্থিতিশীলতা নষ্ট করা কঠিন কিছু নয়। এখন তারা সেটাই করে যাচ্ছে।

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক আরো বলেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ অতীতের যেকোনও সময়ের চেয়ে এখন শক্তিশালী এবং ঐক্যবদ্ধ। দেশের মানুষ শেখ হাসিনার নেতৃত্ব, সততা, সাহসিকতার প্রতি আস্থাশীল। জনগণের প্রতিরোধের মুখে যেকোনও ষড়যন্ত্র ভেস্তে যেতে বাধ্য।
সম্মেলনে নেতা-কর্মীদের উদ্দেশ্যে ওবায়দুল কাদের বলেন, নতুন নেতৃত্ব বাছাইয়ের একটি সাংগঠনিক প্রক্রিয়া সম্মেলন। এর সঙ্গে কারো যেমন পরাজয়ের গ্লানির সম্পর্ক নেই, তেমনি কারও বিজয়ের উল্লাস নেই।

যারা নির্বাচিত হন তাদের ওপর দায়িত্ব বর্তায় নেতাকর্মীদের রাজনৈতিক দায়বদ্ধতা শেখানো এবং সততা ও কর্মনিষ্ঠা চর্চা। সৎ, নির্ভীক, কর্মনিষ্ঠ দেশপ্রেমিক কর্মীরাই হলো শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগের শক্তি। আওয়ামী লীগকে আরও শক্তিশালী ও গতিশীল করতে প্রত্যেক কর্মীকে অতীতের মতো জনমানব, গণমুখী চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য অর্জন করতে হবে। সব কর্মীকে প্রকৃত সমাজকর্মী, দেশকর্মী হিসেবে বিকশিত হতে হবে। স্বেচ্ছাসেবক লীগের মধ্যে শৃঙ্খলা রয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এই শৃঙ্খলাকে আরও দৃঢ় করতে হবে, সুসংগঠিত করতে হবে। শেখ হাসিনার নির্দেশনা যথাযথভাবে পালন করতে হবে।

Share Now
January 2025
M T W T F S S
 12345
6789101112
13141516171819
20212223242526
2728293031