দেশ জুড়ে টিকার হাহাকার। ভারতে ভ্যাকসিন বাড়ন্ত। এই পরিস্থিতিতে বিদেশে টিকা রপ্তানি বন্ধ রেখেছে ভারত। চিন্তায় রয়েছে ভারতের ২ প্রতিবেশী বাংলাদেশ এবং নেপাল। কারণ এই দুই দেশ টিকা প্রদান কর্মসূচি নিরবিচ্ছিন্ন রাখতে কূটনৈতিক প্রচেষ্টা জারি রেখেছে। রয়টার্স জানাচ্ছে, অক্টোবরের আগে কোনোভাবেই ভারত ভ্যাকসিন সরবরাহ করতে পারবে না। তাই যে সময়ে COVAX পাওয়ার কথা ছিল সেই সময় বিলম্বিত হওয়ার প্রবল সম্ভাবনা। স্বল্প আয়ের দেশগুলিতে এই ভ্যাকসিন সরবরাহ করার জন্য যে কর্মসূচি নেয়া হয়েছিল কার্যত তা ধাক্কা খেলো।
বাংলাদেশ জানিয়েছে, দ্বিতীয় ডোজ সরবরাহের জন্য জরুরি ভিত্তিতে তাদের এস্ট্রাজেনেকার ১৬ মিলিয়ন ডোজ প্রয়োজন এবং এটি পেতে যুক্তরাষ্ট্র এবং কানাডা সহ বেশ কয়েকটি দেশকে সাহায্যের জন্য যোগাযোগ করা হয়েছে । বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী কানাডার হাই কমিশনারের সঙ্গে যোগাযোগ জারি রেখেছে, যাতে কানাডা থেকে কমপক্ষে ২ মিলিয়ন ডোজ এস্ট্রাজেনেকার ভ্যাকসিন সংগ্রহ করা যেতে পারে।
দেশের কূটনৈতিক বিশেষজ্ঞরা আশা রাখছেন, যাতে আমেরিকা থেকে অন্তত এস্ট্রাজেনেকা ভ্যাকসিনের ৪ মিলিয়ন ডোজ পাওয়া যায়, যেখানে ৬০ শতাংশ ভ্যাকসিন পাবার কথা ছিল। কোভিড ভ্যাকসিন পেতে বাংলাদেশ ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউট অব ইন্ডিয়া (এসআইআই) এর সাথে একটি চুক্তি করেছে, যা মোতাবেক বাংলাদেশকে ৩০ মিলিয়ন ডোজ এস্ট্রাজেনেকা শট পাঠানোর কথা সেরামের, কিন্তু তারা পাঠিয়েছে মাত্র ৭ মিলিয়ন। ভ্যাকসিন পেতে বাংলাদেশ একইসঙ্গে রাশিয়া এবং চীনের সঙ্গেও যোগাযোগ রাখছে। যাতে স্পুটনিক এবং সিনোফার্ম দেশের হাতে আসে। তবে বাংলাদেশ এস্ট্রাজেনেকার ওপর বেশি ভরসা রাখছে, কিন্তু এই টিকা সবে মাত্র দেশের ২ শতাংশ মানুষকে পুরোপুরিভাবে দেয়া সম্ভব হয়েছে।
নেপালও একই সমস্যায় জর্জরিত। জানুয়ারিতে সেই দেশে ভ্যাকসিন দেয়ার কর্মসূচি শুরু হয় নেপালকে ২.৩৫ মিলিয়ন এস্ট্রাজেনেকার ডোজ পাঠিয়েছে ভারত। তবে COVAX জানিয়েছে ১.৫৫ মিলিয়নের বেশি তাদের কাছে আর টিকা মজুত নেই। সব মিলিয়ে ভ্যাকসিন সংকটে ভুগছে বাংলাদেশ, নেপালের মতো দেশগুলি।