আর্ন্তজাতিক : থাইল্যান্ড দফায় দফায় বোমা বিস্ফোরণে কেঁপে ওঠল । গত ২৪ ঘণ্টার ব্যাবধানে এসব বিস্ফোরণে নিহত হয়েছেন কমপক্ষে চার ব্যক্তি। আহত হয়েছেন ডজন খানেক মানুষ। বোমা হামলার জন্য বেছে নেয়া হয় দেশটির বেশ কিছু প্রসিদ্ধ পর্যটন এলাকা। শুক্রবার থাইল্যান্ডে রাণীর জন্মদিন উপলক্ষে ঘোষিত ছুটির মধ্যেই এসব হামলা হলো। এখন পর্যন্ত হামলার দায় স্বীকার করেনি কেউ। তবে, পুলিশের ধারণা এগুলো বিচ্ছিন্নতাবাদীদের কাজ।
গতকাল বৃহস্পতিবার থেকে আজ শুক্রবার পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় এ সব বোমার বিস্ফোরণ ঘটে। বিস্ফোরণ ঘটার স্থান গুলোর মধ্যে জনপ্রিয় পর্যটন এলাকা হুয়া হিন রিসোর্টে ৪ টি বোমার বিস্ফোরণ হয়। এতে দুই ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। সুরত থানিতে দুইটি বিস্ফোরণে নিহত হয়েছেন একজন। থ্র্র্যাং এলাকায় বিস্ফোরণে নিহত হয়েছেন একজন। ফুকেত আইসল্যান্ড এলাকায় প্যাতং পর্যটক বিচে দুইটি বোমার বিস্ফোরণ হয়। ফংগা প্রদেশের একটি সৈকতে অপর বিস্ফোরণ হয়।
ব্যাংকক থেকে প্রায় দুশ কিলোমিটার দক্ষিণে হুয়া হিন শহর আর ফুকেট প্রদেশটি একেবারেই দক্ষিণে। দুটি স্থানই নয়নাভিরাম সৈকতের জন্য পর্যটকদের কাছে জনপ্রিয়।
প্রসঙ্গত, রাজনৈতিক অচলাবস্থার মধ্যে গত ৭ আগস্ট থাইল্যান্ডে এক গণভোটে সেদেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোটার একটি নতুন সংবিধানের পক্ষে রায় দিয়েছে।
প্রাথমিক ফলাফলে দেখা যাচ্ছে, ৬০ শতাংশ ভোটারই নতুন সংবিধানের পক্ষে ভোট দিয়েছে।
এই সংবিধান বলবত হলে দেশটির রাজনীতিতে সামরিক বাহিনীর অবস্থান স্থায়ী রূপ লাভ করবে।
তবে থাইল্যান্ডের মানবাধিকার সংগঠনগুলো এই সংবিধানের প্রস্তাবগুলোর সমালোচনা করেছে।
তারা বলছে, এর ফলে নিবাচিত রাজনীতিবিদদের ওপরে নিয়োগকৃত কর্মকর্তাদের কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠিত হবে।
২০১৪ সালে ইংলাক চিনাওয়াতের সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করার পরপরই সেনাবাহিনী পুরোনো সংবিধান বাতিল করে দেয়।
তারপর সেনাবাহিনীর তৈরি একটি কমিটি নতুন একটি সংবিধানের খসড়া তৈরি করে। তার পরেই ওই গণভোট হয়। যার এক সপ্তাহের মধ্যে এই হামলা হলো। (ঢাকাটাইমস/১২আগস্ট/ইএস)