বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ৪৫ বিলিয়ন বা ৪৫০০ কোটি ডলারে পৌঁছেছে দেশে প্রথমবারের মতো। বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে এ তথ্য জানা গেছেকরোনার মধ্যেও  । এই পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ  দিয়ে আগামী ১২ মাসের আমদানি ব্যয় মেটানো যাবে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংক সূত্রে জানা গেছে, প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্সের সঙ্গে রপ্তানি আয় বেড়েছে। এ কারণে রিজার্ভের পরিমাণ ৪৫.১০ বিলিয়ন ডলারে দাঁড়ালো। প্রথমবারের মতো দেশে বৈদেশিক মুদ্রার রির্জাভ ৩৫ বিলিয়ন ডলার অতিক্রম করে গত বছরের ২৩শে জুন। তার আগে ৩রা জুন রিজার্ভ ৩৪ বিলিয়ন ডলার অতিক্রম করে। ১লা সেপ্টেম্বর ৩৯.৩০ বিলিয়ন ডলার অতিক্রম করে।

করোনাভাইরাসের কারণে বৈদেশিক বাণিজ্যের নিম্নগতি থাকলেও প্রবাসী আয় বৈদেশিক মুদ্রার রির্জাভ বাড়াতে সহায়তা করেছে। দেশে উন্নয়নশীল অংশীদারদের বিনিয়োগও আসা শুরু করেছে বলে জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকর্তারা।

এর আগে ২০১৭ সালের ৫ই সেপ্টেম্বর দেশে বৈদেশিক মুদ্রার রির্জাভ ৩৩.৬৮ বিলিয়ন ডলার হয়।

এদিকে মহামারি করোনার মধ্যেও প্রবাসী আয়েও রেকর্ড হয়েছে। প্রবাসীরা গত এপ্রিল মাসে রেকর্ড পরিমাণ রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য বলছে, প্রবাসীরা গত মাসে রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন ২০৬ কোটি ৭০ লাখ ২০ হাজার ডলার। আর চলতি অর্থবছরের (জুলাই- এপ্রিল) প্রথম ১০ মাসে রেমিট্যান্স এসেছে দুই হাজার ৬৭ কোটি ২০ লাখ ডলার। যা গত বছরের একই সময়ের চেয়ে ৬০০ কোটি ডলার বেশি। গত অর্থবছরের প্রথম ১০ মাসে দেশে রেমিট্যান্স এসেছিল এক হাজার ৪৮৬ কোটি ৮০ লাখ ডলার।

এদিকে পণ্য রপ্তানিতেও নতুন মাইলফলক স্পর্শ করেছে বাংলাদেশ। এপ্রিলে মাসে রফতানি আয় বেড়েছে ৫০৩ শতাংশের বেশি। গত বছরের এপ্রিলে রপ্তানি নেমে গিয়েছিল মাত্র ৫২ কোটি ডলারে। সেই বিপর্যয় কাটিয়ে চলতি বছরের এপ্রিল ৩১৩ কোটি ডলারের পণ্য রফতানি হয়েছে। যা গত বছরের এপ্রিলের চেয়ে ৫০২.৭৫ শতাংশ বেশি।

Share Now
January 2025
M T W T F S S
 12345
6789101112
13141516171819
20212223242526
2728293031