ঢাকা : তিনজন নিহত হয়েছেন ঝিনাইদহ ও সুন্দরবনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে। এর মধ্যে রাজধানীর কদমতলীতে র্যাবের সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে এক মাদক চোরাকারবারী, ঝিনাইদহের হরিনাকুন্ডে এক ‘ডাকাত’ এবং সুন্দরবনে পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ এক ‘বনদস্যু’ নিহত হয়েছেন। তিন জেলার বন্দুকযুদ্ধের খবর তুলে ধরা হলো।
ঢাকার কদমতলীর ওয়াসা পানির ট্যাংকের সামনে শুক্রবার ভোরে র্যাবের সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে ৩৫ বছর বয়সী এক যুবক নিহত হয়েছেন, যিনি মাদক চোরাকারবারি বলে র্যাব দাবি করছে। নিহতের নাম-পরিচয় জানাতে পারেনি র্যাব। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য রাজধানীর মিটফোর্ড হাসপাতালে নেয়া হচ্ছে।
র্যাবের একটি সূত্র জানায়, ওয়াসার ট্যাংকের সামনের খোলা জায়গায় মাদক কেনাবেচার খবর পেয়ে র্যাবের একটি দল ভোরে সেখানে যায়। এ সময় কয়েকজন চোরাকারবারি র্যাবকে লক্ষ্য করে গুলি ছোঁড়ে। র্যাবও পাল্টা গুলি ছোঁড়ে। র্যাবের গুলিতে ঘটনাস্থলেই এক চোরাকারবারি নিহত হয়। বাকিরা পালিয়ে যায়। গুলিবিদ্ধ ব্যক্তিকে উদ্ধার করে মিটফোর্ড হাসপাতালে নেয়া হচ্ছে। বন্দুকযুদ্ধের পরে ঘটনাস্থল থেকে একটি বিদেশি পিস্তল, এক রাউন্ড গুলি, ৫১০ পিস ইয়াবা ও ১৪টি প্যাথোডিন ইনজেকশন উদ্ধার করা হয়েছে বলে র্যাবের ওই সূত্র জানিয়েছে।
র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার সহকারী পরিচালক মিজানুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
ঢাকাটাইমসের ঝিনাইদহ প্রতিনিধি জানান, বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত পৌনে দুটার দিকে হরিনাকুণ্ডু উপজেলায় র্যাবের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ শহিদুল ইসলাম নামে এক ‘ডাকাত’ নিহত হয়েছেন।
নিহত শহিদুল ইসলাম উপজেলার দৌলতপুর ইউনিয়নের পারদখলপুর গ্রামের তোরাব আলীর ছেলে।
ঝিনাইদহ র্যাব-৬ এর কোম্পানি কমান্ডার মনির আহমেদ জানান, উপজেলার ফলশী গ্রামে ডাকাতির প্রস্তুতি নেয়ার খবর পেয়ে র্যাব সেখানে অভিযান চালাতে গেলে এ বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে। এ সময় গুলিতে ঘটনাস্থলেই শহিদুল ইসলাম নিহত হয়। বাকিরা পালিয়ে যান। পরে মরদেহ উদ্ধার করে হরিনাকুণ্ডু স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হয়। এ সময় ঘটনাস্থল থেকে একটি ওয়ান শ্যুটার গান ও দুই রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়েছে বলে তিনি জানান।
এদিকে ভোর সাড়ে চারটার দিকে খুলনার কয়রা উপজেলার খড়খড়িয়া নদীর পাশে পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ সুন্দরবনের ভয়ঙ্কর বনদস্যু আনারুল বাহিনীর প্রধান আনারুল ইসলাম নিহত হয়েছেন।
নিহত আনারুল কয়রা উপজেলার মহারাজপুর গ্রামের জিহাদ সানার ছেলে।
কয়রা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শমসের আলী বলেন, রাত ১০টার দিকে উপজেলার মহারাজপুর এলাকার বাড়ি থেকে আনারুলকে আটক করা হয়। পরে তার স্বীকারোক্তি অনুযায়ী ভোরে তাকে নিয়ে অস্ত্র উদ্ধার করতে গেলে আগে থেকে ওঁৎ পেতে থাকা আনারুলের সহযোগীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছোঁড়ে। আত্মরক্ষার্থে পুলিশও পাল্টা গুলি চালায়। এতে গুলিবিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলেই আনারুল মারা যান। এ ঘটনায় পুলিশের দুই কনস্টেবলও আহত হয়েছেন বলে দাবি করেন তিনি। এ সময় দুই কনস্টেবলও আহত হয়েছেন। পরে ঘটনাস্থল থেকে একটি বন্দুক, পাঁচটি কার্তুজ ও দুটি দা জব্দ করা হয়েছে।
ওসি শমসের আলী আরও জানান, আনারুল দীর্ঘদিন ধরে সুন্দরবনে দস্যুবাহিনী পরিচালনা করে আসছিলেন। তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় খুন ডাকাতিসহ ১০টির মতো মামলা রয়েছে।