এখন কাতারের বাংলাদেশ ‘হাই-রিস্ক’ বা উচ্চ ঝুঁকির তালিকায়। শুধু বাংলাদেশ নয় এ তালিকায় আরো আছে ভারত, নেপাল, পাকিস্তান, ফিলিপাইন এবং শ্রীলঙ্কা। এসব দেশ থেকে কাতারে গেলে অবশ্যই সর্বনিম্ন ১০ দিন সরকার নির্ধারিত হোটেলে কোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে। এ কথা আগেই জানিয়ে দেয়া হয়েছে। তবে মঙ্গলবার নতুন কিছু নির্দেশনা জারি করা হয়েছে। অনলাইন গালফ টাইমসে এ কথা বলা হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, এসব দেশের কোনো যাত্রী বা এসব দেশ হয়ে যাওয়া ফ্লাইটের সব যাত্রীকে অবশ্যই কোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে। যাত্রার ৪৮ ঘন্টা আগে করোনা পরীক্ষার পিসিআর রিপোর্ট নেগেটিভ নিতে হবে সঙ্গে।  ইচ্ছে হলেই তারা যেকোনো হোটেলে কোয়ারেন্টিনে থাকতে পারবেন না।

এ জন্য সরকার একগুচ্ছ হোটেল নির্ধারণ করে দিয়েছে। এ সংক্রান্ত আরো নির্দেশনা জারি করেছে কাতার এয়ারওয়েজ। প্রয়োজনীয় তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে https://www.qatarairwaysholidays.com/qa-en/welcome-home-high-risk-arrivals/ এই ওয়েবসাইটে। সেমতে, কোয়ারেন্টিন কমপক্ষে ১০ দিনের জন্য বাধ্যতামূলক। ফ্লাইটে আরোহনের সময় অবশ্যই প্রদর্শন করতে হবে ৪৮ ঘন্টার মধ্যে পিসিআর পরীক্ষার রিপোর্ট। যারা কোয়ারেন্টিনে ছিলেন বা টিকা নিয়েছেন অথবা করোনা পজেটিভ ধরা পরার পড়েছিল- তাদের কারো ক্ষেত্রে কোনো ব্যতিক্রম নেই। কাতার এয়ারওয়েজের ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে, যদি বাংলাদেশসহ এই উচ্চ ঝুঁকিতে থাকা দেশ থেকে আপনি আগেই ভিন্ন কোনো হোটেল বুকিং দিয়ে থাকেন এবং এসব দেশ থেকে ২৮ শে এপ্রিলের আগে কাতারে পৌঁছেন তাহলেও আপনার বর্তমান ‘ডিসকোভার কাতার ভাউচার’ বৈধ হবে ভ্রমণের জন্য। এক্ষেত্রে আপনার বুকিং দেয়ার বিষয়ে পরিবর্তন করার সুপারিশ করছি আমরা।

কাতার পৌঁছার পর কোয়ারেন্টিনের জন্য এই পরিবর্তন করতে পারেন। অর্থাৎ কোনো ব্যক্তি আগেই কোনো হোটেলে কোয়ারেন্টিনের জন্য বুকিং দিলেও তিনি তা পরিবর্তন করে সরকার নির্ধারিত হোটেলে কোয়ারেন্টিনে যেতে পারেন। এ জন্য মূল হোটেল বুকিংয়ের সঙ্গে বাড়তি অর্থ পরিশোধ করতে বলা হবে না। এই ছয়টি দেশের যাত্রীদের জন্য আলাদা কোয়ারেন্টিল হোটেলের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এ জন্য মূল বুকিংয়ের সঙ্গে এসব হোটেলের খরচ কমবেশি হতে পারে। এ ক্ষেত্রে কোনো যাত্রীর মূল বুকিং দেয়া হোটেলের খরচ যদি সরকার নির্ধারিত হোটেলের চেয়ে বেশি হয়, তাহলে তিনি রিফান্ড দাবি করতে পারবেন।
কাতার এয়ারওয়েজ আরো বলেছে, যদি কোনো ব্যক্তি ভিন্ন কোনোখানে হোটেল বুকিং দিয়ে থাকেন এবং তিনি দোহার স্থানীয় সময় ২৯ শে এপ্রিল রাত ঠিক ১২টার পর কাতার পৌঁছেন, তাহলে তার মূল বুকিং বাতিল করা হয়েছে এ বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে দেশ ছাড়ার আগেই। মূল বুকিং বাতিল করে নির্ধারত নির্দেশনা অনুযায়ী হোটেল বুকিং দিতে বলা হবে। এক্ষেত্রে নতুন বুকিংয়ের জন্য সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকেই পুরো খরচ বহন করতে হবে। তবে মূল যে বুকিং দেয়া হয়েছিল তার অর্থ ফেরত দেয়া হবে ১৫ কর্মদিবসের মধ্যে।
২৭ শে এপ্রিল দোহা’র স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৭টার পর থেকে যেসব নতুন বুকিং দেয়া হবে এসব দেশের নাগরিকদের জন্য তা অবশ্যই হতে হবে সরকার নির্ধারিত কোয়ারেন্টিন হোটেলে। ফ্লাইটে আরোহনের সময় এসব বুকিংয়ের হোটেল ভাউচার প্রদর্শন করতে হবে।

Share Now
January 2025
M T W T F S S
 12345
6789101112
13141516171819
20212223242526
2728293031