ইফতারি খাওয়াকে কেন্দ্র করে ছাত্রলীগের বিবাদমান দুই গ্রুপের সংঘর্ষ হয়েছে। এই ঘটনায় দুই ইন্টার্ন ডাক্তারসহ উভয়পক্ষের মোট ৮ জন আহত হয়। মঙ্গলবার (২৭ এপ্রিল) ইফতারের পরে ‘সিএমসি ক্যাফে’র সামনে এ ঘটনা ঘটে। বিবাদমান দুই গ্রুপের এক পক্ষ শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান নওফেল ও আরেক পক্ষ নগর আওয়ামী লীগ সেক্রেটারি আ জ ম নাসির উদ্দিনের অনুসারী।
জানা যায়, ক্যাফেটেরিয়াতে ইফতার খাওয়াকে কেন্দ্র করে নাছির গ্রুপের ছাত্রলীগের কর্মীরা নওফেল গ্রুপের কর্মীদের টিটকারি করে। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে দুই গ্রুপের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এতে এমবিবিএস ৫৪ ব্যাচের শিক্ষার্থী ইন্টার্ণ চিকিৎসক সোহেল রানাসহ দুইজন আহত হয়।
এই বিষয়ে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ (চমেক) হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ জহিরুল হক ভূঁইয়া বলেন, সন্ধ্যায় ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এতে দুইজন আহত হয়েছে। তবে তবে কারো অবস্থা আশঙ্কাজনক নয়।
আর বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত আছে।
এদিকে সংঘর্ষের জেরে হাসপাতালে ইন্টার্ন ডাক্তাররা ধর্মঘট ডেকেছে । আজ বুধবার (২৮ এপ্রিল) সকাল থেকে তারা কাজে যোগ দেননি। যার ফলে সেখানকার রোগীরা চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন। বিষয়টি নিয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সাথে ডক্টরস এসোসিয়েশনের নেতাদের কয়েকদফা সাথে বৈঠকে কোন সমাধান হয়নি। ডাক্তাররা তাদের সবকটি দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত কর্মবিরতি চালিয়ে যাবেন বলে ঘোষণা দেন।
উল্লেখ্য, দুই দশক ধরে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের ছাত্রলীগের রাজনীতি এককভাবে নিয়ন্ত্রণ করতো সাবেক সিটি মেয়র ও নগর আওয়ামী লীগের সেক্রেটারি আ জ ম নাসির উদ্দিন। তবে গত বছরের শেষের দিকে শিক্ষা উপমন্ত্রী নওফেল হাসপাতালটির পরিচালনা কমিটির সভাপতি মনোনীত হওয়ার পর সেখানে তার কিছু অনুসারী তৈরি হয়। বর্তমানে ক্যাম্পাসে বিবাদমান দুটি পক্ষ মুখোমুখি অবস্থান করছেন। করোনা পরিস্থিতিতে কলেজ হোস্টেল বন্ধ ঘোষণা দেয়ার পরও উভয়পক্ষের কর্মীরা আধিপত্য বিস্তারের জন্য অনেকটা জোর করেই সেখানে বসবাস করছেন।