চট্টগ্রাম : গতকাল বুধবার গ্রেপ্তারের পর তাকে আদালতে হাজির করা হলে চট্টগ্রামের পঞ্চম মহানগর হাকিম নাজমুল হোসেন চৌধুরী তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। মামলার বাদি লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) মোহাম্মদ ইসমাইল হোসেন ও তার স্ত্রী লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) রুনা আক্তার।
ব্যাংকে বন্ধক রেখে ঋণ নেয়ার ‘জমি’ বিক্রি করে দেয়ার অভিযোগে দায়ের করা মামলায় এক আইনজীবীকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। দায়ের করা এ মামলায় তার বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ আনা হয়েছে। গ্রেপ্তার হওয়া ওই আইনজীবীর নাম মোহাম্মদ গোলাম ফারুক।
মামলাটির তদন্ত কর্মকর্তা দুর্নীতি দমন কমিশনের চট্টগ্রাম কার্যালয়ের উপ–সহকারী পরিচালক রইস উদ্দিন আহমদ। এ বিষয়ে দুদকের আইনজীবী সানোয়ার আহমেদ লাভলু জানান, নগরীর বায়েজিদ এলাকায় আইনজীবী গোলাম ফারুক তার মালিকানাধীন জমিটি ২০০৩ সালে ব্যাংকে বন্ধক রাখেন।
বন্ধকের বিষয়টি গোপন করেই ২০০৪ সালে তিনি জমিটি দুই বাদির কাছে বিক্রি করেন। তারা সেখানে ভবন নির্মাণ করেন। ২০১৩ সালে ব্যাংক বন্ধকী বিষয়ে পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিলে তারা বিষয়টি জানতে পারেন। এরপর জমির ক্রেতারা ২০১৪ সালের ১২ অগাস্ট ‘প্রতারণার অভিযোগে’ গোলাম ফারুকের বিরুদ্ধে মামলা করেন। মামলাটির তদন্তের দায়িত্ব সম্প্রতি দুদকের কাছে যাওয়ার পর বুধবার দুপুরে গোলাম ফারুককে নগরীর আগ্রাবাদ এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। আইনজীবী সানোয়ার আরো বলেন, আদালতে হাজির করা হলে আসামিপক্ষ জামিনের আবেদন করে। আদালত জামিন আবেদন নাকচ করে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। জানা গেছে, নগরীর বায়েজিদ এলাকার ওই জমিটি ২০০৩ সালে সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক খাতুনগঞ্জ শাখায় বন্ধক দিয়ে ৫০ লাখ টাকা ঋণ নেন গোলাম ফারুক। ওই ঋণের বিপরীতে গোলাম ফারুকের কাছে ব্যাংকের তিন কোটি ৮৮ লাখ টাকা পাওনা রয়েছে বর্তমানে।
– See more at: http://www.dainikazadi.org/details2.php?news_id=1174&table=august2016&date=2016-08-11&page_id=1&view=0&instant_status=0#sthash.9cb7h5PB.dpuf