তা মোকাবিলায় আমাদের ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। শক্তিকে সংহত করতে হবে। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, দ্বিতীয়ত মুজিবনগর সরকার তথা স্বাধীনতার চেতনার শত্রু সামপ্রদায়িকতাকে রুখতে হবে, প্রতিহত ও পরাজিত করতে হবে। মূলত এই দু’টি চ্যালেঞ্জ আমাদের সামনে। আমরা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে করোনাকে প্রতিহত করবো এবং সামপ্রদায়িক অপশক্তিকেও পরাজিত করবো। করোনা মোকাবিলায় সরকারের আন্তরিকতার কোনো ঘাটতি নেই জানিয়ে তিনি বলেন, সরকারের আন্তরিকতা, চেষ্টা বা সদিচ্ছার কোনো ঘাটতি নেই। সব ধরনের ঘাটতি সরকার পূরণ করার চেষ্টা করছে। করোনা নিয়ে দুনিয়াব্যাপী যে সংকট, তা বাংলাদেশে নতুন কিছু নয়। তবে বাংলাদেশ অনেক দেশের তুলনায় ভালো আছে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, প্রতিবেশী দেশ ভারতে প্রতিদিন প্রায় দেড় থেকে দুই লাখের মতো করোনা সংক্রমণ শনাক্ত হচ্ছে। কাজটা খুবই দুরূহ ও কঠিন চ্যালেঞ্জের।
শেখ হাসিনার মতো সাহসী কাণ্ডারি আমাদের সঙ্গে আছেন, প্রথম তরঙ্গ মোকাবিলায় তিনি বিচক্ষণতার পরিচয় দিয়েছেন। জীবনের সঙ্গে জীবিকার সমন্বয় করে তিনি পরিস্থিতি মোকাবিলা করেছেন। আজও নেত্রীর ওপর আমাদের ও দেশের জনগণের আস্থা রয়েছে। সড়ক পরিবহন মন্ত্রী বলেন, করোনা ও লকডাউনে অসহায়-কর্মহীন মানুষের আর্থিক সুরক্ষায় সরকার ইতিমধ্যে বিভিন্ন উদ্যোগ নিয়েছে। তারই ধারাবাহিকতায় লকডাউনে ক্ষতিগ্রস্ত ১ কোটি ২৫ লাখ পরিবারের মধ্যে খাদ্য সহায়তা দেয়া হবে। আসন্ন ঈদে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে ঈদ উপহার হিসেবে ৩৬ লাখ ২৫ হাজার দরিদ্র পরিবারকে আর্থিক সহায়তা দেয়া হবে বলে জানান সেতুমন্ত্রী। বিপন্ন মানুষের পাশে সবার আগে দাঁড়ানো আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক সংস্কৃতি বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, করোনা ভাইরাস রাজনৈতিক দল চেনে না।
আমরা প্রতিদিনই হারাচ্ছি মূল্যবান প্রাণ। দীর্ঘ হচ্ছে মৃত্যুর মিছিল। এ সময়ে দোষারোপের রাজনীতি নয়, নয় অন্ধ সমালোচনার তীর ছোড়া। সবাইকে করোনার সংক্রমণ রোধে সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে বলে উল্লেখ করেন ওবায়দুল কাদের। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। এর আগে তিনি সেতু বিভাগের সঙ্গে বিভিন্ন উন্নয়ন কার্যক্রম পর্যালোচনা সভায় ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত হন। পর্যালোচনা সভায় ওবায়দুল কাদের বলেন, নানান চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে এগিয়ে চলছে পদ্মা সেতুর নির্মাণকাজ। ইতিমধ্যেই ৪১টি স্প্যান বসানো হয়েছে, এখন রেলওয়ে ও সড়ক পথের স্ল্যাব বসানোর কাজ এগিয়ে চলছে।
শনিবার পর্যন্ত পদ্মা সেতুর নির্মাণকাজের অগ্রগতি শতকরা ৮৫ ভাগ। তিনি আশা প্রকাশ করে বলেন, ২০২২ সালের জুন মাসে এই সেতুর নির্মাণকাজ শেষ হলে যান চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে দেয়া হবে। চট্টগ্রামে কর্ণফুলী নদীর তলদেশ দিয়ে নির্মাণাধীন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেলের কাজ দ্রুতগতিতে এগিয়ে যাচ্ছে উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ইতিমধ্যে প্রায় আড়াই কিলোমিটার দীর্ঘ একটি টিউবের রিং প্রতিস্থাপনসহ বোরিং কাজ শেষ হয়েছে। এর মধ্যে টিউবটির ৪০০ মিটার রোড স্ল্যাব নির্মাণকাজ শেষ হয়েছে। এ পর্যন্ত টানেল নির্মাণকাজের অগ্রগতি শতকরা ৬৬.৫০ ভাগ। এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে এবং এয়ারপোর্ট রোড হতে আশুলিয়া-বাইপাইল হয়ে ঢাকা ইপিজেড পর্যন্ত চার লেনের সড়ক ও উড়ালপথ নির্মাণ প্রকল্পের কিছুটা গতি পেলেও আশানুরূপ অগ্রগতি হয়নি বলেও জানান সড়ক পরিবহন মন্ত্রী।