ঢাকা : আজ বৃহস্পতিবার প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের আপিল বেঞ্চ এ আদেশ দেন। বেঞ্চের অন্য সদস্যরা হলেন- বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন, বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী, বিচারপতি মির্জা হোসেইন হায়দার এবং বিচারপতি মোহাম্মদ বজলুর রহমান। মুদ্রা পাচারের দুই মামলায় ডেসটিনি গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ রফিকুল আমীন ও চেয়ারম্যান মোহাম্মদ হোসেনের জামিন স্থগিতের মেয়াদ এক সপ্তাহ বাড়িয়েছে আপিল বিভাগ। ১৮ আগস্ট এ বিষয়ে পরবর্তী শুনানি হবে।
গত ৩১ জুলাই আপিল বিভাগ এই দুইজনকে হাইকোর্টের দেয়া জামিন স্থগিত করে ১১ আগস্ট শুনানির পরবর্তী দিন ধার্য করেন। এর আগে গত ২০ জুলাই ডেসটিনির এমডি ও চেয়ারম্যানকে জামিন দেয় হাইকোর্টের একটি ডিভিশন বেঞ্চ।
এদিকে সম্পদের বিবরণী চেয়ে রফিকুল আমীন ও মোহাম্মদ হোসেনকে দেয়া দুদকের নোটিশ স্থগিত করার বিষয়ে হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত করেছে আপিল বিভাগ। এ আদেশের ফলে এ দুইজনের বিরুদ্ধে নোটিশের ভিত্তিতে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া যাবে বলে জানিয়েছেন দুদকের আইনজীবী খুরশিদ আলম খান।
বিচারপতি মো. রহুল কুদ্দুস ও বিচারপতি ভীষ্মদেব চক্রবর্তীর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ গত ২ আগস্ট এ দুইজনকে দেয়া দুদকের নোটিশ স্থগিত করে রুল জারি করেন। রুল নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত ওই নোটিশ অনুযায়ী কোনো ধরনের আইনগত পদক্ষেপ না নিতেও আদেশ দেয় হাইকোর্ট।
আদালতে ডেসটিনির পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার আজমালুল হোসেন কিউসি। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী খুরশিদ আলম খান।
৩,২৮৫ কোটি টাকা মানি লন্ডারিংয়ের অভিযোগে সাবেক সেনাপ্রধান ও ডেসটিনি গ্রুপের সভাপতি লে. জেনারেল (অব.) হারুন অর রশিদ ও ডেসটিনির ব্যবস্থাপনা পরিচালক রফিকুল আমীনসহ প্রতিষ্ঠানটির ২২ শীর্ষ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ২০১২ সালের ৩১ জুলাই রাজধানীর কলাবাগান থানায় পৃথক দুটি মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। ২০১৪ সালের ৪ মে এ দুই মামলায় অভিযোগপত্র দেয় দুদক।
দুই মামলার মধ্যে ডেসটিনি মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ লিমিটেড এর মামলার অভিযোগপত্রে ১,৮৬১ কোটি টাকা আত্মসাৎ এবং পাচারের অভিযোগ আনা হয়। অপর মামলাটি হয় ডেসটিনি ট্রি প্লানেটেশন নিয়ে। এই মামলার অভিযোগপত্রে ২১৩ কোটি ৯০ লাখ টাকা আত্মসাৎ এবং পাচারের অভিযোগ আনা হয়।
ডেসটিনি মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ মামলার অভিযোগপত্রে আসামি করা হয়েছে ৪৬ জনকে। ডেসটিনি ট্রি প্ল্যানেটেশন মামলার আসামি ১৯ জন। মামলা দুটির অভিন্ন আসামি ১৪ জন। দুই মামলারই প্রধান আসামি রফিকুল আমীন। এসব মামলার মোট সাক্ষী ১৫০ জন।