চট্টগ্রাম : হাই কোর্ট বন্দরনগরীর টাইগারপাস এলাকায় পরিবেশ অধিদপ্তরের অনুমতি ছাড়া পাহাড় কেটে মেয়রের ভবন নির্মাণ বন্ধে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিষ্ক্রিয়তাকে অবৈধ ঘোষণা করেছে । খবর বিডিনিউজ
এ সংক্রান্ত রুলের ওপর চূড়ান্ত শুনানি শেষে বুধবার বিচারপতি ওবায়দুল হাসান ও বিচারপতি কৃষ্ণা দেবনাথের হাই কোর্ট বেঞ্চ রুল যথাযথ (অ্যাবসিলিউট) ঘোষণা করে এ রায় দেয়।
ওই ভবন নির্মাণের জন্য যে মাটি খনন করা হয়েছিল, তা সিটি করপোরেশনকে নিজ খরচায় ভরাট করে দিতে আদালতের নির্দেশ এসেছে বলে রিটকারীর পক্ষের আইনজীবী মনজিল মোরসেদ জানিয়েছেন।
চট্টগ্রাম নগরের টাইগার পাস এলাকায় পাহাড় কেটে সিটি করপোরেশনের মেয়রের ভবন নির্মাণ হচ্ছে বলে ২০১৪ সালে সংবাদমাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশ হয়।
এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা চেয়ে পরিবেশবাদী সংগঠন হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের (এইচআরপিবি) পক্ষে ওই বছরের ৪ ডিসেম্বর হাই কোর্টে একটি রিট আবেদন করা হয়। একই বছরের ৮ ডিসেম্বর হাই কোর্ট রুলসহ ভবন নির্মাণের ওপর স্থিতাবস্থা বজায় রাখতে অন্তর্বর্তীকালীন আদেশ দেয়।
পাহাড় পরিদর্শন করে অনুমতি সংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য প্রতিবেদন আকারে দাখিল করতে চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক ও পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিচালককে (এনফোর্সমেন্ট) নির্দেশ দেওয়া হয়।
আর রুলে টাইগার পাসে পাহাড়া কাটা বন্ধে বিবাদীদের নিষ্ক্রিয়তা কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না এবং নির্মাণসামগ্রী অপসারণ ও সিটি করপোরেশনের নিজ খরচে মাটি ভরাট করে দেওয়ার নির্দেশ কেন দেওয়া হবে না, তাও জানতে চাওয়া হয়।
পরিবেশ সচিব, পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র, চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক ও পুলিশ কমিশনারসহ বিবাদীদের রুলের জবাব দিতে বলা হয়। এ রুলের ওপর শুনানি নিয়ে বুধবার আদালত রায় ঘোষণা করে।
আদালতে রিট আবেদনকারী পক্ষে শুনানি করেন মনজিল মোরসেদ। চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের পক্ষে ছিলেন মকবুল আহম্মেদ।
মনজিল মোরসেদ বলেন, সরকারের প্রতিবেদন ও হলফনামার বর্ণনা অনুসারে পরিবেশ অধিদপ্তর ও জেলা প্রশাসকের অনুমতি ছাড়াই পাহাড় কেটে ভবন নির্মাণের কাজ হয়। এটি অবৈধ ঘোষণা করে রুল যথাযথ বলে রায় দিয়েছে আদালত।
“এর ফলে অনুমতি ছাড়া ওখানে ভবন নির্মাণ করা যাবে না। আর ভবন নির্মাণের জন্য মাটি যে খনন করা হয়েছিল, তা সিটি করপোরেশনের নিজ খরচায় ভরাট করে দিতে হবে।”
একইসঙ্গে অনুমতি চেয়ে পরিবেশ অধিদপ্তরের কাছে সিটি করপোরেশনের করা আবেদনটি ৬০ দিনের মধ্যে নিষ্পত্তি করতে নির্দেশ দিয়েছে আদালত।